সাতাশ কিলোমিটারের দাম্পত্য পাঠকের লন্ডনী পাউন্ড

তাসলিমা খানম বীথি :

তিনি তখন লন্ডন থেকে ম্যাসেস দিলেন, আমার বইটি তিনি কিভাবে পেতে পারেন। তাকে বলি কেউ দেশে আসলে দিতে পারব। তখন লন্ডন থেকে সিলেটে আসেন কবি সৈয়দ আলী আহমদ ভাইয়ের ব্যারিষ্টার পুত্র। পাঠক বললেন আলী ভাইয়ের ছেলে দেশে রয়েছে তিনি একদিন পর লন্ডনে চলে যাবেন। হাতে সময় কম। এইসময় আমিও খুব বিজি কেমুসাসের বইমেলা নিয়ে। আলী ভাইকে কল দিতেই তিনি জানালেন বইমেলা আসলে নিয়ে যাবেন।

2. আমার গ্রন্থটি চলে গেলো লন্ডনে। কিছুদিন পর পাঠক ম্যাসেস দিলেন, সালাম। আপনার বই এসেছে। হাতে আসার পর প্রথম গল্পটি পড়ে নিয়েছি। জোনাকি বা মিলি কারো কষ্টই সুখকর নয়। দোষ তুহিনের। কিন্তু আপনি কষ্ট দিলেন জোনাকি ও মিলিকে। কি আর করার আছে!

বইয়ের 15টি গল্প মধ্যে জোনাকির আলো তার হৃদয় দাগ কাটে। বুঝতে পারি তিনি মন দিয়ে বইটি পড়েছেন। পাঠক যখন তার অনুভুতি কথা জানায় তখন ভীষণ ভালো লাগে। লেখার জন্য আরো একদাপ প্রেরণা বাড়িয়ে দেয়।

যাই হোক, সেই লন্ডন প্রবাসী পাঠক তিনিও একজন লেখক কবি ফরিদ আহমদ রেজা। নামের সাথে আগে পরিচিত ছিলাম। দেখা হয়নি কখনো। তিনি বইয়ের হাদিয়া কথা লন্ডন থেকে আসার আগে জানালেন কিছুদিন পর দেশে আসলেন। আলী ভাই সাথে তার বাসা দেখা হতে আমার গ্রন্থের হাদিয়া খামটি দিলেন। আলী ভাই হাতে খামটি কখন আমাকে দেবেন তিনি কল দিলেন। কেমুসাসে, সাহিত্য আসর কিংবা বইমেলা দেখা হলেও খাম আর নেওয়া হয় না। তিনিও কল দিতেই থাকেন। আমার কাছে খামটি পৌছানো যায় কিভাবে? যেহেতু আমরা সবাই ব্যস্ত তাই বললাম কেমুসাসে লাইব্রেরীতে জমা রাখবেন গেলেই পাবো। অবশেষে লন্ডন প্রবাসী পাঠকের দেওয়া আমার প্রথম গ্রন্থের জন্য খামটি খুলে দেখি 10 পাউন্ড। মনের আনন্দ লেখি আর সেই লেখা পাঠকের ভালোলাগা ভালোবাসা যখন পরিণত হয় তখনি লেখার সার্থকতা মনে হয়। পাঠক ও মানুষের ভালোবাসা আমার জীবনে সবচে বড় প্রাপ্তী। সবশেষে আন্তরিক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবি সৈয়দ আলী আহমদ ও কবি ফরিদ আহমদ রেজাকে।

শেয়ার করুন