তাইসির মাহমুদ :
মক্কায় এখন সকাল সোয়া আটটা । ফজরের জামাত শেষে তাওয়াফ শুরু করেছিলাম। কিছুক্ষণ আগে শেষ হলো। মাকামে ইব্রাহিমের পাশে দুই রাকাত নফল সামাজ পড়ে সেখানেই বসে আছি।
কাবা ঘরের গিলাফে দৃষ্টি গেঁথে আছে । সরানো কঠিন। পাশে কত নর-নারী। কেউ নামাজ পড়ছেন, কেউ চোখের পানি ছেড়ে কাঁদছেন। কান্নার সুর কানে আসছে।
তাওয়াফ শেষে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে কাবামুখী হয়ে জমজম পানি পান করার নিয়ম রয়েছে। আমার কাছে পানির বোতল ছিলো না।পাশে বসা হাজী আমার হাতে এক বোতল জমজম পানি তুলে দিলেন। বললেন, এটা আপনার জন্য হাদিয়া। আমি সহাস্যে তাঁর হাদিয়া গ্রহন করলাম।দাঁড়িয়ে কাবমুখী হয়ে তিন ঢোক পান করলাম।
কাবা প্রাঙ্গণ ছাড়তে হবে। হোটেলে গিয়ে মদীনাগমনের প্রস্তুতি নিতে হবে। দুপুর দুইটায় গাড়ি প্রস্তুত থাকবে আল-কিসওয়া হোটেলের সম্মুখে।
কিন্ত বসা থেকে দাঁড়াতে পারছিনা। কাবার আঙ্গিনা ছাড়তে মন চায়না। মনে হয়, কাবার দিকে দৃষ্টি রেখে দিনরাত বসে থাকি। চোখদুটো যেন চুম্বকের
মতো ধরে রেখেছে।
কিন্ত বিদায় তো নিতে হবে। কাবাকে বিদায় জানাতে হবে। আর কবে আসবো জানিনা। হতে পারে এটাই শেষ কাবা দর্শন। আর কোনোদিন দেখা হবেনা।
তবে আসতে চাই পবিত্রতম এই ঐতিহাসিক ঘরে বারবার, শতবার । যদি আল্লাহ তায়ালা চান তাহলে আসবো আবারও। সকলের জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন কবুল করেন আমিন।