মুহিবুর রহমান একাডেমি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন উচ্চমানের প্রতিষ্ঠান
…প্রফেসর মোঃ জাকির আহমদ
সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জাকির আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ অনেক সম্ভাবনাময়। ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে অসংখ্য প্রতিভা লুকায়িত আছে। এই প্রতিভাগুলো এগিয়ে আসলে দেশ অনেক উন্নত হয়। মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান একজন সম্ভাবনাময় ভালো মানুষ। যিনি শিক্ষাপ্রসারে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে মুহিবুর রহমান একাডেমি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন উচ্চমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করি, এ প্রতিষ্ঠান অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘মুহিবুর রহমান একাডেমি’র এক যুগপূর্তি উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ৩ দিনব্যাপী যুগপূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
নগরীর দর্শনদেউড়িতে অবস্থিত ‘মুহিবুর রহমান একাডেমি’-তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন। একাডেমির উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমদাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একাডেমির রেক্টর সালমা খানম চৌধুরী, সরকারি মদনমোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট সিলেট জেলার সভাপতি এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোট সিলেটের সমন্বয়ক অধ্যাপক মোঃ ফরিদ আহমদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ বদরুল আলম, সিলেট কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হারুন মিয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে মুহিবুর রহমান একাডেমি। ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর এর এক যুগ পূর্তি হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি কারিকুলামে পাঠদান করা হয়। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে মক্তব শাখা চালু রয়েছে। মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৪টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এক যুগপূর্তি উপলক্ষে ফেঞ্চুগঞ্জে মুহিবুর রহমান একাডেমির শাখা উদ্বোধন হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী এক যুগপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নানাধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহিবুর রহমান একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন বলেন, মুহিবুর রহমান একাডেমি একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাবে। এ প্রতিষ্ঠান গড়তে যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বিশেষ করে, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, এমডি এবং রেক্টর-কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, যারা এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মাইলফলক অবদান রেখেছেন।