হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বতী সরকার। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে চেয়ারম্যান করে গঠিত ২৫ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডে সিলেট থেকে ট্রাস্টি মনোনীত হয়েছেন রাজনীতিক ও সমাজকর্মী সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু।
গত ৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ সচিব রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী তিন বছরের জন্য এই ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরকার কোনো মনোনীত ট্রাস্ট্রিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারে কিংবা কোনো ট্রাস্টি ইচ্ছে করলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে পারবেন।
সিলেট নগরের সেনপাড়া শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সুদীপ রঞ্জন সেন বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাÐের সঙ্গে জড়িত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কল্যাণ সাধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়ন এই ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে হিন্দুধর্মীয় প্রতিষ্ঠানদি পরিচালনা, সংস্কার, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে আর্থিক সহায়তা প্রদান, অসচ্ছল হিন্দু ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং হিন্দু ধর্মের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পরিচালনা করা হয়।
ট্রাস্টি মনোনীত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সুদীপ রঞ্জন সেন বলেন, ‘এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নই হবে আমার একমাত্র কাজ। ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুণœ রাখা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে আমার আন্তরিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।
অভিনন্দন: হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মনোনীত হওয়ায় সুদীপ রঞ্জন সেনকে অভিবন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা এডভোকেট। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সুদীপ রঞ্জন সেন একজন পরীক্ষীত মানুষ। আমরা আশাবাদী তাঁর নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সমৃদ্ধ হবে।