সাহিত্য জগতে অনেক মানুষ এসে আবার হারিয়ে যায়। কিন্তু যারা সত্যিকার অর্থে মন থেকে সাহিত্যকে ভালোবাসে এবং আঁকড়ে ধরে তাদের স্থায়ীত্ব দীর্ঘমেয়াদী হয়। একজন ভালো লেখক চাইলেই সরে যেতে পারেন না। কোনো কারণে সরে গেলেও মানুষের মনে যুগযুগ ধরে থেকে যান। সৌন্দর্য সৃষ্টি, বিনোদন ও আনন্দদানের জন্য সাহিত্য রচনার পাশাপাশি লেখকদেরকে সামাজিক দায়বোধ থেকেও লেখালেখি করতে হবে। সমাজের নানা অসঙ্গতি লেখালেখির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২১২তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে বক্তারা এ কথা বলেন।
গত (৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সাহিত্য সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে আসরে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক বিশিষ্ট লেখক জাবেদ আহমদ, ভ্রমণ কাহিনী লেখক মোয়াজ আফসার, কবি মাহফুজ জোহা ও ছড়াকার শাহ সরোয়ার আলী।
ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজারের সঞ্চালনায় আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন সিরাজুল হক, ছয়ফুল আলম পারুল, আব্দুস সামাদ, কায়েস মাহমুদ চৌধুরী, কামাল আহমদ, জুবের আহমদ সার্জন, সাজ্জাদ আহমদ সাজু, আশরাফ মাহমুদ, মো. ছালিক আহমদ, মো. আব্দুল বাতিন, মো. শামীম আহমদ, বাহাউদ্দিন ইবনে আশরাফ, মিজানুর রহমান মিজান, ইব্রাহীম ইউসুফ, মকসুদ আহমদ লাল, মো. সুয়েজ হোসেন, আজহার তামিম, আতিকুর রহমান প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, শেখ সারফুদ্দিন, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও সাজিদুর রহমান। আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আব্দুস সামাদ। আসরে সেরা লেখক মনোনীত হন ইব্রাহীম ইউসুফ।