✍️ রুবেল আহমদ ”দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারে ২০২৪ শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বরায়া উওর ভাগ গ্রামের কৃতি সন্তান হলি আর্ট যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আশফাক উদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে ঢাকাস্হ ওসমানী মিলনায়তনে অন্তবর্তী কালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং গ্রাম ও কর্মসংস্হান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম,যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রেজাউল মাকসুদ জাহেদী,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো: সাইফুজ্জামান।
আশফাক উদ্দিন আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩ নং ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বরায়া উওর ভাগ গ্রামের মো: মকবুল হোসেন ও মোছাৎ সালেহা বেগমের ছেলে। তিনি ৩ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে দিত্বীয় এবং হলি আর্ট যুব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
উল্লেখ্য গত ০১/০১/২০১৫ সালে হলি আর্ট যুব উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে বেকার যুবক যুবতীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল আত্মনির্ভরশীল জনশক্তি তৈরি করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি । তার প্রতিষ্ঠিত হলি আর্টে বর্তমানে বেসিক কম্পিউটার ট্রেনিং, ফিলেন্সিং, বুটিক,চিত্রাংকন সহ বিভিন্ন কোর্সে অনেক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর আগে সমাজসেবা ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে অগ্রণী ভুমিকা রাখায় ২০২০, ২০২২ ও ২০২৩ সালে সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পুরুস্কারে ভুষিত হন তিনি। তাছাড়া ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেেট এবং বৃক্ষ রোপণ বিভাগীয় পুরস্কার ২০২২ অর্জন করেন তিনি।
দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেটে বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন আশফাক উদ্দিন আহমেদ । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পথশিশু সেবা সংগঠন- সহ কো-অর্ডিনেটর, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি- সিলেটের আজীবন সদস্য, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সদস্য, সিলেট চেম্বার এন্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য,সিলেট বিভাগ যুব উন্নয়ন ফোরাম সহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন এ অর্জন শুধু আমার একার নয় আমার সাথে পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারে সহযোগিতা করছেন তাদের ও অবদান রয়েছে, তারা যদি আমাকে সহযোগিতা না করতেন তাহলে হয়তো আমি এ পুরস্কারে ভূষিত হতাম না।
ভালো কাজের মুল্যায়ন স্বরুপ পুরস্কার প্রাপ্তি কার না ভালো লাগে বলুন। আমার এ প্রাপ্তিতে আমাকে আগামীতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে আরো বেশি উদ্ভুদ্ধ করবে।