সন্ত্রাস ও কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে পিআরপদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই

সন্ত্রাস ও কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে পিআর
পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই:
—-ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কোন ভোট বিফলে যায় না, নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। ইসলামী আন্দোলন ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরো উৎসাহিত হবে।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সারাদেশের ন্যায় শনিবার (২৬ অক্টোবর বেলা ২টায় কাজলশাহ তকদীর পয়েন্টে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালী থানার ৩নং ওর্য়াড শাখার সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. রিয়াজ এসব কথা বলেন।

এতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় অনেক মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নীতি আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে সদস্য ফরম পুরণ করে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে ইসলামী আন্দোলনের যোগদান করেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মতিউর রহমান খানঁ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা বদরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মধু মিয়া, সেক্রেটারি মোঃ মনির হোসাইন, ৩নং ওর্য়াড সেক্রেটারি মোঃ জুবায়েল মিয়া সহ থানা ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে ডা. রিয়াজ আরও বলেন, এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয় নাই। একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু কোনো দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নাই। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে।

শেয়ার করুন