খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি সিলেট জেলা শাখা উদ্যোগে আগামী ১৩ নভেম্বর সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে “খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন”। সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে সিলেট শহর, শহরতলী ও জেলাব্যাপী চলছে দাওয়াতী কার্যক্রম। এতে অংশ নিবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন, খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সহ জাতীয় পর্যায়ের উলামা-মাশায়েখ। কমিটির সিলেট জেলা শাখা সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক শায়েখে সুরইঘাটী আহুত ১৩ নভেম্বরের মহাসম্মেলন সফলের জন্য সিলেটবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা প্রতিরোধে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল উম্মতের উপর জরুরি।
শনিবার বিকেলে কমিটির প্রচার সচিব মাওলানা শাহিদ হাতিমী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইন্তেজামিয়া কমিটির সদস্য সচিব, জামিয়া শামীমাবাদের মুহতামিম হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ ও খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমী জানান, ১৩ নভেম্বরের মহাসম্মেলন সিলেটে স্মরণকালে সর্ববৃহৎ সম্মেলন হবে। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের অপতৎপরতা প্রতিরোধে এবং সম্মেলন সফলে ব্যাপক আলোচনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। কাজির বাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবকে যুগ্ম সদস্য সচিব নেওয়া হয়। দারুল হুদা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুজিবুর রহমান কাসিমীকে আহবায়ক করে দাওয়াতী উপকমিটি গঠন করা হয়। মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবকে আহবায়ক করে অর্থ উপকমিটি গঠন করা হয়। মাওলানা শায়খ মুখলিসুর রাহমান রাজাগঞ্জীকে আহবায়ক করে, ইন্তেজামিয়া কমিটির প্রচার সচিব মাওলানা শাহিদ হাতিমীকে নিয়ে প্রচার উপকমিটি ও মিডিয়া সেল গঠন করা হয়।
এর আগে এক সভায় পোস্টার লিফলেট প্রস্তুতকরণ, অতিথিগণকে দাওয়াত, প্রশাসনিক কমিউনিকেশন, জরুরি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য পূর্বে ঘোষিত বিশেষ কমিটি যথাক্রমে- মাওলানা শায়খ মুখলিসুর রহমান রাজাগঞ্জী, অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, হাফিজ মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসিমীর ওপর জিম্মাদারী প্রদান করা হয়।