সিলেটে নিলামের চিনি ছিনতাই, থানায় অভিযোগ

সিলেটে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকার চিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাহপরাণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ( ৮ অক্টোবর) অভিযোগটি দায়ের করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৪)।

অভিযোগে তিনি মোট ৯জনকে অভিযুক্ত করেছেন। এদের মধ্যে ছিনতাইয়ের হুকুম দাতা হিসাবে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি। তিনি হলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন। নগরীর কুশিঘাট এলাকার আব্দুল বাছিতের ছেলে শাওন (২৫), কুশিঘাট বাজার কমিটির সেক্রেটারি শাহিন আহমদ (৪২), একই এলাকার আলাল মিয়া (৩৫)।

আর সরাসরি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত হিসাবে যে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন একই এলাকার মকবুল আহমদ (৩২), মনসুর আহমদ (২৭), উজ্জল (৩০), আফজল (৩২) ও উসমান (৩৫)।

অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন,  কানাইঘাট থেকে সরকারি নিলামে (কানাইঘাট থানা মামলা নং ১৩৮/২০২৪) ক্রয় করা তার সাড়ে ১১ লাখ টাকার ২১১ বস্তা ভারতীয় চিনি কুশিঘাটের পুষ্টি বেকারিতে বিক্রির জন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুশিঘাট নিয়ে আসে। তখন গাড়ির চালক মাহবুব ও হেল্পারকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত অভিযুক্ত মকবুল মনসুর উজ্জল আফজল ও উসমান গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। এরপর তাদের নির্দেশে ড্রাইভার ও হেল্পার ২১১ বস্তা চিনি অন্য একটি ঘরের সামনে নিয়ে আনলোড করে। তারা এ ঘটনা প্রকাশ করলে ড্রাইভার ও হেল্পারকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি ও চাবি ফেরত দেয়।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে তিনি কুশিঘাট এলাকায় এসে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন শাওন রিপন শাহিন ও আলাল মিয়ার নির্দেশেই ছিনতাইকারীরা কাজটি করেছে। তাদের সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জন ছিনতাইকারী ছিল।

তিনি এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মনির হোসেন মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন এ বিষয়ে বলেন, এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদীত একটা অভিযোগ। আমি কি তা ২৪নং ওয়ার্ডবাসীসহ সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত সবাই জানেন। একটি মহলের ষড়যন্ত্রে আমার নাম আসামির তালিকায় দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারীর সঙ্গে আমার কোনো চেনাজানা নেই। যেঘানে অবৈধ লেনদেনের কোনো অভিযোগই আমার নামে কখনো উঠেনি, সেখানে আমাকে ছিনাতাইয়ের নির্দেশ দাতা হিসাবে অভিযুক্ত করার বিষয়টি স্রেফ উদ্দেশ্যপ্রণোদীত।

তিনি তার এলাকা ঘরে তার সম্পর্কে জানারও আহ্বান জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন