এনডিএফ এর মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২২, ৩:৩৫ মিনিট
সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করা সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (NDF) সিলেট জেলা শাখা।
জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ১৩ আগস্ট শনিবার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টে সিলেট জেলার মিছিল সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। ক্রীন ব্রীজের (দক্ষিণ পার) মুখে পয়েন্ট হয়ে একটি মিছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কদমতলি পয়েন্টে সমাবেশ করে। সংগঠনের জেলা দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু’র সভাপতিত্বে এবং আনছার আলীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো ছাদেক মিয়া, শাহপরাণ থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, জেলা কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির অন্যতম নেতা বদরুল আজাদ, সিলেট জেলা হোটের শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, , শাহপরাণ থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শাহীন মিয়া , চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম সহ প্রমুখঃ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে যখন একজন শ্রমিক ,শ্রমজীবী , মানুষের চলা চ্যালেন্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে ঠিক সেই সময় সরকার খামখেয়ালিভাবে জনগনের কথা নূন্যতম চিন্তা না করে সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণে জ্বালানী তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যে গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ জনজীবন ও জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়েছে । তার সাথে সার- ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকের উপর চাপ পড়েছে , যার দরুন উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে । পরিবহন ভাড়া বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে আর তার চাপ সরাসরি জনগণের উপর পড়েছে । আবার নতুন করে বিদ্যুৎ – গ্যাসের সংকট ও দাম বৃদ্ধি হলে বিভিন্ন ধরনের শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে শ্রম ঘনত্ব ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটবে।
বক্তারা সরকারের এই কর্মকান্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান এবং সাথে সাথে বলেন , বাজারে যখন চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা , তেলের লিটার ২০০ টাকা ,ডিমের হালি ৬০ টাকা ,সবজির দাম নূন্যতম ৫০ টাকা (কেজি প্রতি) কাঁচামরিচের কেজি ২২০ টাকা তখন একজন চা শ্রমিক দৈনিক ১২০ টাকা বেতনে কিভাবে তার সংসার চালাবে ? চা শ্রমিরা তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। চা শ্রমিকদের এই ন্যায্য দাবীর চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারনের জোর দাবি জানান।