সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২২, ৬:০২ মিনিট
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবার ভূমিখেকো চক্রের কারণে পড়েছেন শংকায়। পৈতৃক ভূমি দখল করতে সপরিবারে প্রাণনাশ করা হতে পারে বলে আশংকা করছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। বুধবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার ও কমান্ডারের নাম মো. শামছুল হক। তিনি কানাইঘাট উপজেলার ২নং লক্ষি প্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ প্রথম খ-ের বাসিন্দা। তাঁর ভূমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ তোলেছেন একই গ্রামের দ্বিতীয় খ-ের বাসিন্দা তৈয়ব আলীর ছেলে আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে।
লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামছুল হক বলেন, ১৯৭৫ সালে আমি বিদেশ চলে যাই। সেখান থেকে প্রায় ৩২ বছর পর ২০০৭ সালে নিজের জন্মভূমিতে ফিরে আসি। দীর্ঘদিন আমি প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রভাবশালী একটি ভূমি খেকো চক্র জবরদখল করে নিয়ে যায় আমার ভাগের পৈতৃক সম্পত্তি। তাদের অপতৎপরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে আমি এবং আমার পরিবারকে এই ভূমিখেকো চক্র প্রাণে মারার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যা আমি ও আমার পরিবার বর্তমানে আতংকে দিন যাপন করছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি বিদেশে যাওয়ায় আমার ভাগের সম্পত্তি জবর দখল কারীরা আমার ভাই বোনদেরক ম্যানেজ করে আমার অংশের জায়গা ভূমিখেকো চক্র আত্মসাৎ করে নেয়। ফলে দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় আমি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত এবং স্থানীয় ভূমিখেকো চক্রের দখলে জায়গা চলে যায়। আর এইসব জায়গার ওপর লোভ পড়ে বাউরভাগ দ্বিতীয় খ-ের বাসিন্দা তৈয়ব আলীর ছেলে আকমল হোসেনের। এই আকমল হোসেন আমার ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে একটি ভূমিখেকো বাহিনী তৈরি করে ভুয়া কাগজপত্র করে জবর দখলে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি প্রবাস থেকে দেশে ফিরে বেদখল হওয়া সম্পদ রক্ষা ও উদ্ধারের জন্য সেটেলমেন্ট জরিপে ল্যান্ড সার্ভে টার্মিনাল আদালতে এস এ মালিকানা দাবি করে প্রায় ৬ থেকে ৭০০ বিঘা জমির জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে সিলেট আদালতে বিচারাধীন। এ মামলার সূত্রপাত ধরে আমি আশংকা করছি ভূমিখেকো বাহিনীর প্রধান আকমল হোসেন ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী কর্মকা- ও মামলা-হামলার অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজনের জান-মালের বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছি। মুক্তিযোদ্ধার সম্পদ রক্ষায় এ প্রভাবশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।