অভাবের মাধুর্য
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ মিনিটআমিনা খান ম
তনুর বাবা আলি হোসেন। বেড নেই বলে মাটিতে থাকেন একটি তুসক বিচিয়ে। উনাকে যদি বলে তনু একটা বেড কিনে আনি বাবা। আলি হোসেন বলেন দরকার নাই।মাটিতেই আমার শান্তি।
মাটি দূর করে অভাবের ক্লান্তি।
আলি হোসেন এর তিন মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মেঝ ও ছোট মেয়ে চাকরি করে ।আলি হোসেন দস্ত্রখানা বিচিয়ে ভাত খাবেন। সুন্নত তরিকায়। প্রত্যেক বছরে ইজতেমা থেকে চিল্লায় যাবেন।জামাত মিস করেন না।আজানের আগেই মসজিদে চলে যাবেন। কমিটির গন্য মান্য ব্যক্তিরাও খুব সম্মান করেন।উনার উয়াইফ কুলসুম বেগম তেমন আমলদার। পাচ ওয়াক্ত সালাতের পাশাপাশি কখন ও তাহাজ্জুদ নামাজ ছাড়েন নাহ।রমজান মাস ছাড়াও প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রোজা রাখেন। পাড়া প্রতিবেশি ও আত্বিয় স্বজন এর সাথে ভাল সম্পর্ক ।
যারা বেশি আল্লাহ তায়ালাকে ডাকে তাদের কষ্ট থাকে বেশি।অভাব থাকে সব সময়।আল্লাহ তায়ালা পরীক্ষা করেন।দুনিয়া সাময়িক কষ্ট ভোগ করতে হয় । আখিরাত চিরস্থায়ী ।
তনু কোরআন তেলোওয়াত করছে। জানালা দিকে তাকাতেই মসজিদ চোখে পরে মসজিদের পাশে আব্দুল ওহাব সাহেবের
পারিবারিক কবরস্থান দেখা যায়। তনু থমকে গেছে কিছুক্ষণ। মনে মনে ভাবছে কেনো দুনিয়া আসলাম।পেটের জন্য দুনিয়া কাজ
করে চলতে হয়। না আসলে হয়তো অনেক কিছু সম্মুক্ষিন হতে হতো না।কেন জানিনা জীবনের প্রতি মায়া কাজ করে না। মিত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে ইচ্চে করে খুব।ইচ্চে করে না রংমঞ্চের দুনিয়া বেঁচে থাকতে । বই পড়া তার কাছে খুব প্রিয় হলেও বই পড়া হচ্ছে না ইদানিং।
পনের রমজান রাত 2টা বাঝে। কাশি শব্দ শুনা ।আলি হোসেনের রুম থেকে।হাঁটতে হাঁটতে তনু যচ্ছে ওর বাবার রুমে।আলি হোসেন নামাজ পড়ছে তার পাশে বসে উয়াইফ কুলসুম বেগম তসবি পরছে।খুব সুন্দর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
তনু তারাবি নামাজ শেষ করে নফল ও তাহাজ্জুদ নামাজ পরেছে।শত্রু, বন্ধু সবার জন্য দোয়া করেছে।মাঝে মাঝে দোয়া করতে যেয়ে আটকে যায়।কি চাইবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তা নিয়ে চুপ থেকে যায়। এই দুনিয়ায় কেও কারো জায়গা, স্থান নিয়ে হেপি না তবুও আমরা শুকরিয়া জানাবো আল্লাহ তায়ালার দরবারে।আল্লাহ যে অবস্থায় রেখেছেন সব সময় তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।