ঈদ বোনাসের দাবিতে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২৪, ২:০১ মিনিটআসন্ন ঈদ উল ফিতরে স¦বেতনে ছুটিসহ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবিতে ৩০ মার্চ রাত ১০ টায় সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ নগরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে এসে জেলা কমিটির সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও রাশেদ আহমেদ এর পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনু মিয়া (সাগর)।
সমাবেশে বক্তারা বলেন আসছে পবিত্র উৎসব ঈদ উল ফিতর। দেশের মুসলমান সম্প্রদায় ঈদ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেও হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকরা সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর ঈদ আসলে বোনাসের জন্য মিছিল-মিটিং, মালিকদের নিকট ধর্ণা দিতে হয়। কিন্তু বছরে দুইটি উৎসব বোনাস শ্রমিকদের আইনি প্রাপ্য অধিকার। বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬(অদ্যাবধি সংশোধিত)এর ধারা ২(২ক) এবং বাংলাদেশ শ্রমবিধি-২০১৫ এর বিধি-১১১(৫) অনুযায়ী সকল শ্রমিককে উৎসব বোনাস প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ ও মানবাধিকারের দিক থেকে শ্রমিকদের উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত করা অমানবিক। শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে মালিকপক্ষ মহাধুমধামে ঈদ উৎসব উদযাপন করলেও শ্রমিকদের ঈদের ন্যায্য উৎসব বোনাস হতে বঞ্চিত করা হয়। শ্রমিকদের এই অসহায়ত্বের কথা বলার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে রাজপথ। তাই প্রতিবছর রমজান আসলেই চাকুরিচ্যুত অবস্থায় আধপেটা অবস্থায় রাস্থায় নামতে হয় ঈদ বোনাসের জন্য। সকল প্রকার আইনি পাওনা আদােেয় শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। তাই বক্তারা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান।
বক্তারা আরোও বলেন বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মজুরির দাবিতে গার্মেন্টস, হোটেলসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকরা যখন আন্দোলন-সংগ্রাম ও ধর্মঘট করার প্রস্তুতিতে আছেন তখন সরকারের ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে ‘অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা বিল’ করার উদ্যোগ মালিকদের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ অবস্থায় অর্জিত অধিকার রক্ষায় শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।