সিলেটের সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেছেন, কুষ্ঠ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। কুষ্ঠ রোগ কোনো অভিশাপ নয়। কুষ্ঠ জীবাণুর সংক্রমণে হয়ে থাকে। চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ সুষ্ঠ হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক মতবিনিময় এ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব তথা বলেন। সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে লেপ্রা বাংলাদেশ- এর অর্থায়নে এ সভা হয়।
সভায় সিলেটের সিভিল সার্জন আরও বলেন, চিকিৎসা নিতে বিলম্ব হলে এ রোগে বিকলাঙ্গতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কুষ্ঠ রোগ শনাক্তের প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে চামড়ায় হালকা ফ্যাকাশে বা বাদামী কিংবা লালচে বর্ণের অনুভূতিহীন দাগ যাতে চুলকায় না ঘামে না এবং ওই স্থানে লোম পড়ে যায়- এমন উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ রোগ ছোয়াচে নয়। তবে এ রোগের জীবাণু হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।
সভার শুরুতে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাইমুন নাহার নাসরিন কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে তথ্য চিত্র প্রদর্শন করেন। কুষ্ঠ রোগ বিষয়ে বক্তব্য দেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত, লেপ্রা বাংলাদেশের মনিটরিং অফিসার শ্যামল কুমার চৌধুরী, সিলেট কুষ্ঠ হাসপাতালের চিকিৎসক নাহিদ রহমান। এসময় আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুজন বণিক, সিলেট সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আব্দুর রফিক।
সভায় বক্তারা বলেন, সিলেট জেলায় ২০২৩ সালে ১৬৮চন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চলতি মাসে শনাক্ত করা হয়েছে দুইজন। বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করতে ২০৩০ সালকে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।