কবি লায়লা রাগীবের ৩৭তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুলাই ২০২৩, ৮:৩৮ মিনিটইসরাক জাহান জেলী :
আজ ৯জুলাই”ঠোঁটের ভাষায় কবিতা লিখুন “শ্লোগানের অমর স্রষ্টা, সিলেট লেখিকা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী কবি লায়লা রাগীব এর ৩৭তম মৃত্যু বার্ষিকী। সিলেটের সাহিত্যে রয়েছে তার অপরিসীম অবদান।
মাত্র ৩০ বছরের জীবনবেলায় সহজ সরল সাবলীল ভাষায় লিখে গেছেন সমাজ, ধর্ম, প্রকৃতি ও জীবনবোধের নানা চিত্রকথা।
নিষ্ঠা, কর্ম তৎপরতা ও সাংগঠনিক কর্মদক্ষতাগুণে তিনি আজ অমর আলোকিত ইতিহাস।
কবি লায়লা রাগিব ১৯৫৬ খ্রিষ্ঠাব্দের ১১ই জানুয়ারী সিলেট শহরের শেখঘাটের বিখ্যাত কাজি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতার নাম সাইয়েদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মাতার নাম লুৎফুন্নেসা।
স্বামী বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সংগঠক কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী।
বাবার দেয়া পারিবারিক নাম লায়লা ইউসুফ বিয়ের পরে লায়লা রাগিব নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন।
অপার সম্ভাবনাময়ী এই নারী লেখকের প্রচেষ্ঠায় ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট লেখিকা সংঘ। তিনি ছিলেন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী। হাটি হাটি পা পা করে সিলেট লেখিকা সংঘ আজ স্বর্ণালী যুগ পার করছে।জন্মদিয়েছে অনেক গুনগ্রাহি লেখক ও সংগঠক।
কবির প্রথম কবিতা গ্রন্হ”কিংখাবে মোড়া ” প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে।”বৃষ্টি আমার জন্মাবধি দুঃখ মুছে নাও “কবিতার বই ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ও “নীড়াঙ্গনে পাখি” প্রবন্ধ গ্রন্হ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে।
কবি লায়লা রাগীব কন্যা রুবায়েত হাসিনা জুমা ও পুত্র লবিদ হোসেন চৌধুরীর জননী।
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ৯জুলাই তিনি ইন্তেকাল করেন।
নিরন্তর শ্রদ্ধার প্রিয় এই নারী লেখকের সাথে আমার দেখা হয়নি কোনদিন।কিন্ত তার স্পর্শে প্রসুত সিলেট লেখিকা সংঘের মতো একটি প্রতিষ্ঠান আজ উঁচু শিরে দাঁড়িয়ে।তার সাহসিকতা উচ্ছ্বল উদ্যোগ, নারী লেখকদের সংগঠিত করার এই বিরল কাজ সাহিত্যাকাশে কবি লায়লা রাগীব বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
দোয়া করি কবিকে আল্লাহ পাক জান্নাতের সুুউচ্চ মাকাম দান করুন, আমিন।