বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশের তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। সরকারী চাকুরিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করলেও তার পরিবার আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় চাকুরি হচ্ছে না। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী করণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। গত ১৫ বছরে দেশে চার কোটি নতুন ভোটার হয়েছে, কিন্তু তারা ভোট দিতে পারছেন না। দেশ পড়েছে হায়েনার কবলে। কথা বলারও স্বাধীনতা নেই। দেশ ও জনগণের পক্ষে কথা বললেই খুন অথবা গুম হতে হয়। এই অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাসহ সকল ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নেই তারুণ্যের সমাবেশ করা হচ্ছে। অধিকার আদায় করেই তরুণ সমাজ ঘরে ফিরবে। তিনি আজকের (রোববার) তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
শনিবার সিলেটের এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে রোববার (৯ জুলাই) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন অভিযোগ তুলে বলেন, বর্তমান সরকার চাকরি প্রদানের বেলায় মেধা-যোগ্যতা বিবেচনা না করে, দলীয় পরিচয় বিবেচনায় চাকরি দিচ্ছে। সকল রকমের যোগ্যতা থাকা সত্বেও দেশের অগণিত তরুণ আজ সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন এই বঞ্চিত তরুণরাই সমাবেশকে সফল করে তুলবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টুকু বলেন, ইতিপূর্বে আমরা দেশের অন্যান্য জায়গায় যখন সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছি, তখন সরকার দলীয় সংগঠন যুবলীগ থেকে একই জায়গায় একই সময়ে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে সমাবেশ করতে গিয়ে কোনো বড় ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি। টুকু বলেন, সমাবেশকে সামনে রেখে সাত দিন ধরে সিলেট লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা চলছে। তারুণ্যের সমাবেশকে সামনে রেখে সরকার দলের অঙ্গ সংগঠনের কোনো আয়োজন আমাদের সমাবেশে বাধা হবে না বলে আমি আশাবাদী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক, সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. স¤্রাট হোসেন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী ভিপি মাহবুব ও সদস্য সচিব আফসর খান।