চলে গেলেন না ফেরার দেশে প্রকৌশলী ফখরুদ্দীন
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ৮:৪২ মিনিটজাবেদ আহমদ :
খারপাড়ার অনেক পুরনো বাসিন্দা প্রবীণ মুরব্বি আরজদ আলী জামে মসজিদের সেক্রেটারি প্রকৌশলী ফখরুদ্দীন শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন না ফেরার দেশে। আশির্ধ্বো বয়সেও তিনি আরজদ আলী জামে মসজিদের কাজে, খারপাড়ার সড়ক প্রশস্তকরণসহ সকল সামাজিক কাজে এলাকার তরুণ যুবক মুরব্বিদের সাথে সামনের সারিতে থাকতেন। খারপাড়ার প্রবেশদ্বারে নান্দনিক গেইট, মুর্দার গোসলখানা নির্মাণে প্রকৌশলী মোঃ ফখরুদ্দীন ছিলেন সকলের সাথে। খারপাড়ার আরজদ আলী জামে মসজিদের টিনসেড ভবনটি ২০১৩ সালে নির্মিত হয়েছিল। ২০১৬ সালে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি হন প্রকৌশলী মোঃ ফখরুদ্দীন। রমজান মাসের প্রাক্কালে দায়িত্ব নিয়েই টিনসেড মসজিদে এসি লাগানোর ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসের পরই টিনসেড মসজিদের স্থলে ৫তলা ভিত্তি বিশিষ্ট মসজিদ পুনঃ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তাঁর বেয়াই প্রকৌশলী আলী সাহেবকে দিয়ে বিনামূল্যে নকশা করান। সেক্রেটারি ও তাঁর সদস্যদের দৃঢ় প্রত্যয় দেখে মসজিদের মোতওয়াল্লী মোঃ নুরুল ইসলাম বাচ্চু মসজিদ পুনঃ নির্মাণের অনুমোদন দেন। চার মাসেই তিনি ৫তলা ভিত্তির নিচতলার পুনঃ নির্মাণ কাজ শেষ করেন। টানা কাজ চলে মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ করেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ১০ লক্ষ টাকার এবং মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর মাধ্যমে এলজিইডি থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মসজিদের কাজ হয়। এসব বরাদ্দ প্রাপ্তিতে প্রকৌশলী মোঃ ফখরুদ্দীন সবসময় তৎপর ছিলেন।
তিনি পাড়ার শুভ কাজে সবসময় সম্পৃক্ত থাকতেন। সিলেট জেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সাবেক গণপরিষদ সদস্য মরহুম মোঃ লুৎফুর রহমান তাঁর এমসি কলেজের সহপাঠী বন্ধু ছিলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিবেশ মন্ত্রী জনাব মোঃ শাহাব উদ্দিন তাঁর চাচাতো ভাই। – চলবে