সিলেট প্রেসক্লাব-মহিবুন্নেছা স্মৃতি সম্মাননা পদক পাচ্ছেন প্রবীণ সাংবাদিক-লেখক ও সিলেট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রফিকুর রহমান লজু। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। উপস্থিত থাকবেন পদকদাতা পরিবারের সদস্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও শিক্ষানুরাগী রফিকুর রহমান লজু ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ সিলেট নগরের রায়নগর সোনারপাড়ায় এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও মরহুম জোবেদা খাতুন দম্পতির পুত্র লজু ছিলেন ১৯৬৫ সালে গঠিত সিলেট প্রেসক্লাবের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং প্রথম কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য।
পেশাগত জীবনে রফিকুর রহমান লজু পাকিস্তান আমলে এক দশকেরও বেশি সময় দৈনিক সংবাদের সিলেটস্থ নিজস্ব সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক গণবাংলা, দৈনিক আজাদ, দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক পূর্বকোণ, মাসিক ঝিনুকে কাজ করেন। বৃহত্তর সিলেট ইতিহাস প্রণয়ন পরিষদের সঙ্গে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত এবং বৃহত্তর সিলেটের ইতিহাস (২য় খ-)-এর সম্পাদনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য। এছাড়াও তিনি জননেতা আব্দুল হামিদ ও মৃত্যুঞ্জয়ী হিমাংশু শেখর ধর স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা (যৌথভাবে) করেন। রফিকুর রহমান লজু ‘ঈশান নামে একটি অনিয়মিত সাহিত্য সাময়িকীর সম্পাদক। তিনি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জীবন সদস্য।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এ পদক প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এ পদক পেয়েছেন সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান, আবদুল মালিক চৌধুরী, আতাউর রহমান আতা, ইকবাল কবির, কামকামুর রাজ্জাক রুনু ও আব্দুল হামিদ মানিক।