চা শ্রমিকদের বিনামূল্যে ক্যান্সার স্কিনিং
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪০ মিনিট
“আসুন ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য কমিয়ে আনি” এই পতিপাদ্যে বিষয়ের উপর সিলেট পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতালের অনকোলজি ভিভাগের উদ্দোগে অবহেলিত চা শ্রমিকদের বিনামূল্যে ক্যান্সার স্কিনিং সেবা দেয়ার মাধ্যমে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২৩ উদযাপিত করেছে। দিবসটির উপর ভিত্তি করে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে সচেতণ করতে শুক্রবার সকাল ১০ টায় সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানে শ্রমিকদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়।র্যালির উদ্ভোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাগীব-বাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টি বিশিষ্ট দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। র্যালিটি সিলেট এয়ারপোর্ট সড়ক ঘুরে পুনরয় লাক্কাতুরা চা বাগানে এসে শেষ হয়। পরবর্তী আলোচনা সভায় অবহেলিত চা শ্রমিকদের ক্যান্সার ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতায় করনিয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
মেডিসিন ও বাত রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ ইসলামই পাটোয়ারী সভাপতিত্বে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক, নবজাতক, শিশু ও কিশোররোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এর রেডিওথেরাপী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার বনিউল আহমেদ। তিনি ক্যান্সার এর প্রাথমিক লক্ষণ ও কারণ ব্যাখ্যা করেন এবং জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক আলোচনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন :-অধ্যাপক ডা. মোঃ শানেওয়াজ চৌধুরী প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রাধান এ্যানসথেশিওলজি ও পেইন মেডিসিন বিভাগ সিলেট উইমেন্স কলেজ ও হাসপাতাল, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ও প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মেডিসিন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট এর পরিচালক ডাঃ হিমাংসু লাল রায়,
অধ্যাপক ডা. আবেদন হোসেন অধ্যাক্ষ, জালালাবাদ রাগীব-বাবেয়া মেডিকেল কলেজ, সিলেট । জনাব ইকবাল সিদ্দিকী সভাপতি, সিলেট প্রেসক্লাব জনাব মোঃ আজম আলী ম্যানেজার মালনীছাড় টি এস্টেট, সিলেট। এ ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. মোঃ আব্দুল হাফিজ (শাফী) সহকারী অধ্যাপক, রেডিওথেরাপি বিভাগ সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ।ডাঃ মোঃ আদনান চৌধুরী আবাসিক সার্জন, সার্জিরি বিভাগ সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল । ডাঃ ফাহমিনা আক্তার ফাহমি জুনিয়র কনসালটেন্ট, গাইনি ও প্রসুতি বিভাগ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ড. সৈয়দ রাগীব আলী বৈষম্য দূরীকরণের এই মহতি উদ্দোগ নেওয়ায় সিলেট পপুলার মেডিকেল সেন্টারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির জন্য চিকিৎসক ও চিকিৎসা পেশার সাথে জারা জড়িতদের নিজেদের উদ্যোগি হয়ে অবহেলিত যারা অর্থ ব্যায় করে চিকিৎসা নিতে পারেন না তাগের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে এবং বিভিন্ন ভাবে সচেতন করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. সরদার বনিউল আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক এক হিসেবে দেখা গেছে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে বছরে এক কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।একেবারে শুরু দিকে শনাক্ত করা গেলে সব ক্যান্সারই সারিয়ে তোলা সম্ভব। যদি অনেক পরে ধরা পড়ে, তখন আর সারানো সম্ভব হয় না
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ, মদ,পান-সুপারি, জর্দা, অতিরিক্ত লবণ, চিনি বেশি বেশি খাওয়া, তজস্ক্রিয়তা, কীটনাশক, ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের স্পর্ষ করা, (হেপাটাইটিস বি ও সি, এইচআইভি, এবস্টেইন বার ভাইরাস, সাইটোমেগালো ভাইরাস), সূর্যকিরণ, বায়ুদূষণ এই সকল কারনে ক্যানসার হতে পারে। এখন বুঝতে হবে ক্যান্সার হওয়া মানেই নির্ঘাৎ মৃত্যু নয়।
যদি কারো অনেক দিন ধরে গলাব্যথা হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে ও খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, স্বর ভেঙে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় গলায় ঘড়ঘড় আওয়াজ হয় এ ছাড়া কাশি বা বমির সঙ্গে রক্ত ওঠা, গলায় চাকা দেখা যায়, দ্রুত ওজন কমে যাওয়াএসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে গেলে জীবন বাঁচারো সম্ভব। আমাদের হাসপাতালেও ক্যানসারের ভালো চিকিৎসা হয় এবং আমাদেও দেশেও ভালো চিবিৎসক আছে। তাই ক্যানসার থেকে বাঁচতে হলে জীবনযাত্রর পরিবর্তণ করতে হবে। মদ,পান-সুপারি, জর্দা, খাওয়া চলবেনা, বেশি তৈলাক্ত খাবার, চর্বি জাতিীয় খাবার পরিহার করতে হবে।