কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১৯৪৭-৪৮ সালের সহসম্পাদক, তৎকালীন যুগভেরী ও আসাম হ্যারাল্ড পত্রিকার সম্পাদক, ভাষাসৈনিক এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম আবদুল হককে নিবেদিত ১১৩৩তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেমুসাসের সাবেক সভাপতি কবি রাগীব হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মোহাম্মদ আবদুল হক ছিলেন চল্লিশের দশকের একজন খ্যাতনামা সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। তৎকালীন সময়ে সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিসহ ভাষা আন্দোলন এবং দেশ বিভাগ আন্দোলনে তাঁর অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন অল আসাম মুসলিম স্টুডেন্স ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারী। প্রগ্রেসিভ সকল আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রবর্তী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে কেমুসাসের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আহমদ মাহবুব ফেরদৌসের সভাপতিত্বে এবং ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজারের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আসরে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মরহুম আবদুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন মরহুমের সহধর্মিণী, ঢাকা লেডিস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং লায়ন্স ক্লাবের সাবেক এরিয়া চেয়ারম্যান গুলশান আনোয়ারা হক এবং মরহুমের বড় মেয়ে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউএনডিপি’র সাবেক কনসালটেন্ট দুরাফসান হক চৌধুরী।

ভাষাসৈনিক আবদুল হকের জীবন ও কর্মের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আল ইসলাহ সম্পাদক, কথা সাহিত্যিক সেলিম আউয়াল। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেমুসাসের সহসভাপতি দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সহ লাইব্রেরি সম্পাদক ইছমত হানিফা চৌধুরী, কবি সালেহ আহমদ খসরু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনক কবি মো. আমিনুল ইসলাম, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি বদরুদ্দোজা বদর, ভ্রমণ কাহিনী লেখক মোয়াজ আফসার, কবি ও ব্যাংকার আনোয়ার হোসেন মিছবাহ, কবি মাসুদা সিদ্দিকা রুহী ও কবি সেনুয়ারা আক্তার চিনু।

সাহিত্য আসরে উপস্থিত ছিলেন ও লেখাপাঠে অংশ নেন কবি শামীমা আক্তার ঝিনু, কবি দেওয়ান গাজী আব্দুল কুদ্দুছ শমশাদ, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, আমিনা শহীদ চৌধুরী মান্না, ডি এইচ শিশির, কামাল আহমদ, চৌধুরী রাহাত, কবির আশরাফ, আবদুল কাদির জীবন, মকসুদ আহমদ লাল, মো. ফজলুল হক খান, সুরাইয়া দৌলা, মুহিবু ইস সালাম রিজভী, মো. মামুন হোসেন, রাজিব আহমেদ, জিয়াউস সালাম, আব্দুল গাফফার উমরা মিয়া, আয়ান প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব ফেরদৌস বলেন, ত্রিশের দশকের বুদ্ধিজীবিদের দুরদর্শি চিন্তার ফলে আমরা কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের মতো প্রতিষ্ঠান পেয়েছি এবং ভাষা আন্দোলনসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে সিলেট সারা দেশের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা রাখার সুযোগ লাভ করেছে। এ সমস্ত গুণি ব্যক্তিদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আরো বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। আসরের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল।