অণুগল্প : দু মিনিট
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১২:০২ মিনিটআনোয়ার হোসেন মিছবাহ্ : আর হয়তো দু মিনিট বাঁচবো।মাত্র দু মিনিট!অথচ তার জন্য জনম জনম পিয়াসা আমার।বিশ্বাস করুন-সে আসলে ই মুখে পুরে দেবো সব।বলে দু মিনিট করে সময় বাড়াতে থাকে চৈতি। বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে ই শূন্যতার কাছে পৌঁছে দিতে হয়েছে বেঁচে থাকার স্বাদ।যাকে ইঞ্চি ইঞ্চি করে দেওয়া হয়ে গেছে শরীরের মাপজোক,তাকে ছাড়া কব্জি থেকে মিনিট ব্যয় করা মানে সময়ের অপচয় করা মাত্র!বলে চৈতি-ক্ষেতের জন্য সকাল চাওয়া শিশিটি হাতে নিয়ে জোনাই পাছার আলো কে চোখের সঙ্গী করে বিড়াল কদমে এগুতে থাকে।ছোট্ট একটি মাঠ,তারপর পুকুরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কলাগাছের ঢিবিতে বসতে বসতে আকাশে ঝুলতে থাকা এক লহমা তারা কে বিড়বিড় করে শোনায়-আমি হয়তো আছি,আর দু মিনিট। আশপাশে কাউকে দেখি না,তুই ই স্বাক্ষী থাক।আর স্বাক্ষী থাক ভেতরের আনন্দ বীজ। তখন রাতের মাথায় পড়ে গেছে সিঁথি টান।
পশ্চিমের আকাশ খুৃৃঁজে চলেছে হারিয়ে যাওয়া আলোকিত চাঁদ।উপরে মুখ তুলে স্মৃতিকে জড়ো করতে থাকে চৈতি।এক এক করে মাছুয়া জালের মতো টানতে থাকে আলিপ্সু শরীরী জীবন।পেট,নাভিতে হাত বুলিয়ে আরেকটি জিন্দাজীবনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে;তুই ও আমার সাথে চল শূণ্য বাবাজি!তোর মাপ বেড়ে গেলে বাবাকে নিতে চাই না সালিশি নালিশে। তার চেয়ে ভালো,তুই ও আমার সাথে চল।আকাশ দেখানোর আগেই যে, যেতে হবে আমাকে। কিন্তু, দু মিনিটের সময় দেওয়া কে আর ত্যাগ করতে পারে না চৈতি।একটা চিরচেনা শরীর এসে ঝাঁপটে ধরে তার মাখানো শরীর!সে ছাড়াতে যায়,পারে না।অপরের শরীর থেকে আসলে সে কোন দিন ই ছাড়াতে পারে নি তার নিজস্ব শরীর।এ এমন এক আঁকড়ে ধরা ডাল বাউড়ি-নিজেকে ডালের পাতিল ই মনে হয়। এক সময় ঝাঁপটে ধরা শিকারীর বুকেই নিজেকে সঁপে দেয় চৈতি।আরও বেশি আদর।আরও বেশি বেশি পায়রা কুসুমে। কেনো না বিয়েটি মিহিরের ছিলো না।সেলফির জন্য দিহানের পাগড়ি টাই মাথায় দিয়েছিলো শুধু শুধু। ২৭.১১.২০২২