একটি গোলাপ বাগানের গল্প
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ৯:৩৬ মিনিটজুয়েল সাদত :
আমার রেনডম ফেসবুক বন্ধু মওলানা খন্দকার আজমল হোসেনের সাথে পরিচয় ২০১৬/২০১৭ সাল থেকে। আজমলকে জানাই রুরাল এরিয়াতে দ্বীনি কাজ করতে চাই , তখন থেকে আজমলের মাধ্যমে অনেক কাজ শুরু হয়। বি বাড়িয়াতে অনেক গুলো প্রতিষ্টান করি- তখন আজমল ঢাকায় মওলানা হচ্ছিলেন। ছিলেন। ২০১৮ সালে আমি বি বাড়িয়া ভিজিট করি আজমলের ও এলাকাবাসীর অনুরোধে। আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে আজমল পরিবারের প্রতি, অসম্ভব দ্বিনী পরিবার। আজমল মওলানা হয়ে বি বাড়িয়াতে ফিরেন, আমাকে বলেন, তিনি সারা জীবন দ্বিনের কাজ করতে চান। তাকে যেন একটি প্রতিষ্টান করে দেই। তখন আখাউড়া চেক পোস্টের পাশে কালিকাপুরে একটি পুরো বিল্ডিং করে দেই আজমলকে৷ সেটা সাদত হাফিজীয়া মাদ্রাসা, সেই মাদ্রাসাটা থেকে আগামী সপ্তাহে একজন হাফেজ বের হবেন।
করোনার পরে একটি প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে যায় ( দারুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা) ,ছাত্র সংকট ও মিস ম্যানেজমেন্ট এর কারনে। আমি অনেক মর্মাহত হয়ে পড়ি। তবে থেমে ষাইনি।।
২০১৯ সালে খন্দকার আজমল অনুরোধ করেন তার স্ত্রী ও উনার ভাবী “হাফেজা ও আলেমা” কিছু করতে চাচ্ছেন। আমি যেন তাদের সুযোগ করে দেই। আমি তখন ( আখাউড়া শহরে) একটা ভাড়া বাসায় ১০ জন মেয়ে নিয়ে একটি মহিলা হাফেজা মাদ্রাসা করে দেই। তিন বছরের মাথায় সেখানে ৪০ জন আবাসিক হাফেজা ছাত্রী পড়াশুনা করছেন। এরই মাঝে বাসা বদল করে বড় বাসায় মাদ্রাসা স্থানাত্তর করি৷
গত সপ্তাহে ১০ বছরের সায়েদা আক্তার নামের টুকটুকে একটি ছোট মেয়ে কোরআান এর হাফেজা হয়েছেন। সাদত মহিলা মাদ্রাসার ১ ম হাফেজা সম্পন্ন উপলক্ষে পুরো এলাকায় খুশির বন্যা। তাই একটি গ্রান্ড রিসেপশন অনুষ্ঠান করে দেই। ১৭০ জনের খাবার দাবার, পুরষ্কার বিতরন ও আখাউড়ার আলেম উলামারা ছিলেন। আখাউড়া ও বি বাড়িয়ার আলেম ও তাবলিগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। সবাই আনন্দ প্রকাশ করেন।।
১১০ /১২০ জনের মত মহিলা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ আলোচনা ও দোয়া ছিল। পুরো আখাউড়া শহরে সাদত মহিলা মাদ্রাসাটা আলো চড়াচ্ছে। অনেকেই ছাত্রী ভর্তি করতে আসছেন৷। জায়গা সংকুলান হচ্ছে না । আরো বড় পরিসরে মাদ্রাসা স্থানান্তরের চেষ্টা করছি।
হাফেজ খন্দকার আজমল ও তার পরিবার মাদ্রাসাটা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করছেন। শিক্ষক ৫ জন আর হাফেজা স্টুডেন্ট ৪০ জন। আগামী বছর আরো ২ জন হাফেজা বের হবেন। এই মাদ্রাসাতে যারা নি:স্ব ও গরীব তারা ফ্রি পড়াশুনা করবে সারা জীবন।
এখানে খুবই চম্যকার পরিবেশে পড়াশুনা ও পুষ্টিকর খাবার পরিবেশনন করা হয়।।
এই গোলাপ আাগানটা সুভাস ছড়াচ্ছে । বি বাড়িয়া ও আখাউড়া তে সাদত ফাউন্ডেশন এর তিনটি প্রতিষ্টান। এক সময় চারটা ছিল। আর সিলেটে ২ টি মাদ্রাসা ও তাহিরপুরে ১ টি মসজিদ। আগামী বছর সাদত ফাউন্ডেশন এর ১০ বছর পুর্ন হবে ইনশাআল্লাহ।।
অনাবাসিক ছাত্রীদের ভর্তি চলমান।। আবাসিক সিট সংকট আপাতত।।