জর্জিয়া টেকে এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং- এ সুযোগ পেলেন সিলেটের ফারহান
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫৮ মিনিটজর্জিয়া টেকে ভর্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ফারহান মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, “আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আমার মত ছাত্র বিশ্বের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। জর্জিয়া টেকের স্কুল অফ এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং, এমআইটি, ক্যালটেক, স্ট্যানফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছনে ফেলে র্যাংকিং- এ এক নম্বরে রয়েছে; সেজন্য ভালো লাগাটা একটু বেশিই।”
এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে ফারহান বলেন, “ছোট বেলায় এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং কি বুঝতাম না। তবে নাসা, রকেট, এয়ারক্রাফট এসব নিয়ে আমার প্রচুর আগ্রহ ছিলো। আর বর্তমানে এওরোস্পেইস ইন্ডাস্ট্রিতে এক ধরনের বিপ্লব শুরু হয়েছে। নাসা ছাড়াও অন্যান্য প্রাইভেট এওরোস্পেইস কোম্পানিগুলো মহাকাশে মানুষ পাঠাচ্ছে। আমিও চাই এই এওরোস্পেইস বিপ্লবে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্ব করতে। তাছাড়া আমি বর্তমানে এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই কর্মরত আছি। সব কিছু মিলিয়েই আসলে এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে মাস্টার্স করার আগ্রহটা আসে।” ফারহান আরো জানান যে তার শিক্ষার শতভাগ খরচ (প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) বহন করবে তার কর্মস্থল প্র্যাট & হুইটনি।
উল্লেখ্য, ফারহানের পৈতৃক নিবাস কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামের সরদার বাড়িতে। তার শৈশব কাটে শমশেরনগরের এয়ারপোর্ট রোডে। তিনি ২০১১ সালে সিলেটের পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করার পর পরিবারের সাথে নিউইয়র্কে পাড়ি জমান।