দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখে
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:১৬ মিনিটদুর্যোগপূর্ণ ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আন্ত:প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় অপরিহার্য। যে কোনো দুর্যোগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীই সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। স্থানীয় পর্যায়ের সমন্বয় যে কোনো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সকলের সমন্বিত অংশগ্রহণ দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওবৃন্দ, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
বক্তারা বলেন, এবারের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সামাজিক নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে পরিস্থিতি মোটামুটি আয়ত্তে ছিল। তাছাড়া, যথাসময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।
প্রধান অতিথি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতেও যে কোনো ধরনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোকে এসওডির (স্ট্যান্ডিং অর্ডার অন ডিজাস্টার) আলোকে অধিকতর সক্রিয় করতে হবে। তবে স্থানীয় পর্যায়ের সক্ষমতা বাড়ানো অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ার সাদত, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবির, এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরী, আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান, ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী প্রমুখ।