বিশিষ্ট লেখক আবদুল জলিল চৌধুরী আর নেই
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১২:০৬ মিনিটবিশিষ্ট লেখক মুহাম্মদ আবদুল জলিল চৌধুরী আর নেই। তিনি গতকাল ২৭ শে আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টায় নগরীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল বাদ মাগরিব দরগাহ-ই-হযরত শাহজালাল (রহ.)-এ মসজিদে নামাজে জানাজাশেষে মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মুহাম্মদ আবদুল জলিল চৌধুরী কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ি গ্রামে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মুহাম্মদ মোমতাজ আলী চৌধুরী ও মাতা মরহুমা আরিফা খাতুন চৌধুরী। তিনি রাজা জি.সি. হাইস্কুল থেকে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে মেট্রিক, ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে মুরারি চাঁদ কলেজ থেকে আইএসসি, একই কলেজ থেকে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে বিএসসি এবং চাকুরিরত অবস্থায় করাচি বিশ^বিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন।
মুহাম্মদ আবদুল জলিল চৌধুরী এইডেড হাইস্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। সরকারি বিভিন্ন বিভাগে চাকরির শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরে আত্মীকৃত হয়ে দীর্ঘ চাকরি জীবনশেষে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ড্রাগ সুপার হিসেবে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অধীনে তিনি ডিএইচএমএস ডিগ্রি লাভ করেন।
আবদুল জলিল চৌধুরী ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশিপ লাভ করেন। তিনি প্রস্তাবিত জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হোমিওপ্যাথি কলেজের প্রিন্সিপালেরও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট মোবাইল পাঠাগার, রাজা জি.সি হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্র সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
আবদুল জলিল চৌধুরীর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘আশা পল্লব’ এবং কবিতাগ্রন্থ ‘কুয়ালালামপুর:যখন বৃষ্টি নামলো’। এছাড়াও তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।