এম.এ জলিল চৌধুরী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২২, ৬:০০ মিনিট
শিক্ষা বিস্তার ও নাগরী লিপির ঐতিহ্য ফেরাতে
জলিল চৌধুরী অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন
– প্রফেসর ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ^াস
নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ^াস বলেছেন, এম.এ জলিল চৌধুরী ছিলেন কম্পিউটারে নাগরী ফ্রন্টের অন্যতম উদ্ভাবক। শিক্ষা বিস্তার ও নাগরী লিপির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এম.এ জলিল চৌধুরী অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। প্রবাস জীবনের নানা ব্যস্ততা থাকা সত্তে¡ও তিনি নাগরী লিপি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং এর প্রচার ও প্রসারে কাজ করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত অঞ্চলকে শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন।
জলিল চৌধুরী ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ আয়োজিত নাগরী গবেষক, শিক্ষানুরাগী এম.এ জলিল চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘নাগরী গবেষক শিক্ষানুরাগী এম.এ জলিল চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল সোমবার (০৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে জলিল চৌধুরী ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চের চেয়ারম্যান ফাতেমা জলিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. নাজিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাগরীলিপি ও লোকসাহিত্য গবেষক মোস্তফা সেলিম এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মাসিক আল ইসলাহ সম্পাদক গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আউয়াল।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে মোস্তফা সেলিম বলেন, জলিল চৌধুরীর নাগরী লিপির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো আর রক্তে ছিলো তাঁর উত্তরাধিকার। উত্তরাধিকারসূত্রে একজন নাগরী সাধক মরমি ফকির আব্দুল ওহাব চৌধুরীর তিনি ছিলেন উত্তরপুরষ।
মূল প্রবন্ধে গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, এম.এ জলিল চৌধুরী একাধারে নাগরীলিপি, সমাজসেবা ও শিক্ষাবিস্তারে কাজ করে গেছেন। তিনি নাগরী তথা মানুষের কল্যাণে নিজের পুরো সম্পত্তি উৎসর্গিত কজরেছেন।
গল্পকার ও সাংবাদিক তাসলিমা খানম বীথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির আইটি ম্যানেজার খায়রুল আক্তার চৌধুরী। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জলিল চৌধুরী ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, জালালাবাদ গ্যাসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফয়জুল আক্তার চৌধুরী, এম.এ জলিল চৌধুরীর জামাতা শাহ আখলাকুর রহমান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কবিপুত্র মহিব চৌধুরী ও শুরুতে তেলাওয়াত করেন জাবেদুর রহমান।