ফেসবুকে পরিচয়: দেখা করতে এসে অপহরণ হলেন কলেজ ছাত্র
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২২, ১০:০৪ মিনিটসিলেটএক্সপ্রেস- প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পরিচয়, তারপর মোবাইল ফোনে দীর্ঘ দিন ধরে কথাবার্তা বলেন এই কলেজ ছাত্র । তারপর কথোপকথন এবং দেখা করতে এসে অপহরণের শিকার হলেন সোহাগ নামে এক কলেজছাত্র।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাজিরুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নার্সিং কলেজের ছাত্র ভিকটিম সোহাগের সাথে লুৎফুন নাহার তন্বীর পরিচয় হয়। তন্বী নিজেকে মাস্টার্স পাশ করা একজন অবিবাহিত তরুণী হিসাবে পরিচয় দেয়।
তন্বী মোবাইলে সোহাগকে মিরপুর-১ নম্বর ফুট ওভার ব্রিজের নিচে দেখা করতে বলে। পরে ২০ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় সোহাগ সেখানে আসার পর তারা মিরপুর-১ নম্বরের হোটেল রোজ ভিউ ( আবাসিক ) এর একটি রুমে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তন্বী হোটেল কক্ষ থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে শফিকুল, মাসুদ ও স্বপনের সাথে যোগাযোগ করে।
সএমএস পেয়ে শফিকুল, মাসুদ ও স্বপন হোটেলে এসে উপাস্থত হয়। শফিকুল নিজেকে সিআইডি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে কৌশলে তন্বী ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পরে শফিকুল, মাসুদ ও স্বপন ভিকটিম সোহাগকে সিআইডি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে।
আসামিরা সিএনজিতে ভিকটিমের হাত ও মুখ চেপে ধরে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। এসময় সোহাগের আসামিদের পুলিশ বলে সন্দেহ হলে টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশের গাড়ি দেখে চিৎকার করে। চিৎকার শুনে টহল পুলিশ সিএনজির পিছু ধাওয়া করে পাইকপাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকে সিএনজিটি আটক করে ভিকটিম সোহাগকে উদ্ধার ও তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো লুৎফুন নাহার তন্বী, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. মাসুদ রানা ও মো. স্বপন। এসময় অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সূত্র : ডিএমপি নিউজ।