বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২২, ৯:৫১ মিনিট
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ডা. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা ও চিকিৎসা পাবে। সে লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন নোয়াখালির বর্তমান লহ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে দেশি-বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে প্রায় ১৩ বছর দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর সুখি-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই স্বপ্ন ছিল আমাদের স্বাধীনতায় আত্মাহুতি দেওয়া ৩০ লক্ষ শহীদেরও। আজ একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন এ দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিলেট বিভাগে আজ ৮১৮টি ঘর পেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬টি পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ২৬টি পরিবারের মধ্যে জালালাবাদ ইউনিয়নের ১৬টি ও কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ১০ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন পিপিএম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক।
এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মোট ১৫ হাজার ৮৬৯টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। কেউ ভূমি কিংবা ঘরহীন থাকবে না।
তিনি বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাননীয়
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাক, সুবিধাভোগি বুশরা বেগম ও কালা মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মনাফ প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কোরআন তেলায়াত করেন সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান। গীতা পাঠ করেন নাজির মোহন দেবনাথ।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের ৮১৮টি পরিবারের মধ্যে সিলেট জেলার ১২৬টি, সুনামগঞ্জের ৪০৬টি, মৌলভীবাজারের ১৬০টি ও হবিগঞ্জের ১২৬টি পরিবার রয়েছে।