জৈন্তাপুর উপজেলায় ভোটারদের আলোচনায় সাংবাদিক গোলজার আহমদ হেলাল
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০২৪, ৬:২৭ মিনিটআসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে ভোটারদের মন জয় করতে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। এই উপজেলায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এখন ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাংবাদিক ও সংগঠক গোলজার আহমদ হেলাল। তিনি সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক আলোকিত সিলেট এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সিলেটের খবর টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি উন্নয়ন ও সমাজকর্মী হিসেবে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিপীড়িত তৃণমূল সাধারণ জনগোষ্ঠীর মাঝে কাজ করছেন।তিনি প্রায় দুই যুগ থেকে সমাজসেবায় নিয়োজিত আছেন।করোনা, বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ সংকটকালে এবং দুঃসময়ে ও সুসময়ে সমান্তরালভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সাংবাদিক গোলজার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে কর্মজীবনে দৈনিক পূণ্যভূমি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকালিন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আইন বিভাগ নিয়ে পড়াশুনা করা এই প্রতিভাবান সাংবাদিক বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন বৃহত্তর জৈন্তিয়া কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান, জৈন্তিয়া শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রথম প্রকল্প পরিচালক, হাজী আস্রব আলী শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি, জৈন্তাপুরবাসীর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অনলাইন প্লাটফর্ম আমার জৈন্তাপুর এর প্রধানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামুলক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্তসহ তিনি স্থানীয়,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত আছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার বিষয়ৈ জানতে চাইলে গোলজার আহমদ হেলাল বলেন, বিভিন্ন কারণে আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে চাই। নেতৃত্ব একটি স্বাভাবিক মৌলিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা, অভিলাষ, আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়, সমাজের চিত্র পাল্টানো যায়। নেতৃত্বে সততা, দক্ষতা ও সাহসিকতা খুব বেশি প্রয়োজন। তা না হলে টেকসই সমাজ গড়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন জৈন্তাপুর উপজেলা দেশের একটি প্রাচীন ও প্রান্তিক জনপদ। বিভিন্ন কারণে সিলেট জেলার একটি গুরুত্বপুর্ণ উপজেলা। এক সময় একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল এখানে। নান্দনিক ও প্রত্মতাত্মিক সভ্যতায় সমৃদ্ধ অপরূপ সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি জৈন্তাপুর। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ উপজেলা অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র এখানেই। এখানে এখনো নেই কোন পৌরসভা। নেই ভালো মানের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানের বালু,পাথর দিয়ে সারাদেশ গড়া হচ্ছে, অথচ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাংখিতভাবে হয়নি। এখনো অনেক রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ, বেহাল দশা।
তিনি বলেন, নগরায়নের এ যুগে গ্রাম হবে শহর শ্লোগান নয় কাজে পরিণত করতে হবে। অনাবাদী জমিকে আবাদযোগ্য করতে হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন করতে হবে। সামন্তবাদী ধ্যান ধারণা কে পেছনে ফেলে দিতে হবে। এককালের ৫০০০ বছরের পুরনো সেই সোনালী জনপদ আজো পিছিয়ে। বলা যায় অবহেলিত এক জনপদ।সরকারী অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এতদঞ্চলের মানুষ। আজ সময়ের দাবী টেকসই সমাজ উন্নয়ন।প্রয়োজন নাগরিকদের জীবন মান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসুচী গ্রহণ।
একটি মডেল উপজেলা গড়ার স্বপ্নচারী গোলজার আহমদ হেলাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে উপজেলাবাসীর পরিকল্পিত উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ হবে সকলের। কোন ব্যক্তি বা দলের নয়। তিনি আলোকিত সোনার জৈন্তা বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন
তিনি বলেন, আমি বৃহত্তর জৈন্তার সবচেয়ে ভালো মানের স্কুল সেন্ট্রেল জৈন্তা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এর ফার্স্ট বয় ছিলাম।ভালো ঈর্ষণীয় ফলাফল নিয়ে এ স্কুল থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেছি।আমার এ অর্জনের পেছনে এলাকার মানুষের অবদান আছে। আমি সেই দায় শোধ করতে চাই। যেহেতু আমি সরকারী চাকরি করছি না। তাই জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।