যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র উপলক্ষে যুবলীগের কর্মসূচি:
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ৮:০০ মিনিট
আগামী ৪ ডিসেম্বর ২০২২ইং, রবিবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ¯েœহধন্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুজিব বাহিনীর প্রধান, সুনামধন্য লেখক, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বাংলার যুব আন্দোলনের পথিকৃত শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র ৮৪ তম জন্মদিন। তিনি ১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ নুরুল হক, মাতার নাম শেখ আছিয়া বেগম। তিনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক, জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ এবং ১৯৬৩ সালে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মণি। তিনি ছিলেন সাধারণ ছাত্রদের প্রাণের স্পন্দন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে আইয়ুব-মোনায়েম খান সরকার শেখ মণিকে গ্রেফতার করে ছয় মাসের কারাদ- দেয়। শেখ মণি’র রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম কৃতিত্ব ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফার পক্ষে সফল হরতাল পালন করা। বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে। তিনি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করায় ছাত্রলীগ ও শ্রমিকদের একত্রিত করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকদের হরতালের পক্ষে তিনিই সংগঠিত করছিলেন। ওই হরতাল সফল না হলে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম হয়তো পিছিয়ে যেত। মোনায়েম খান সরকার শেখ মণিকে গ্রেফতার করেন, তিনি ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর মুক্তি লাভ করেন। শেখ মণি ছিলেন ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনমূখী কর্মসূচির অন্যতম প্রণেতা। তিনি দৈনিক “বাংলার বাণী” প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ মণি “বাংলার বাণী’তে “দুরবীণে দূরদর্শী” নামে কলাম লিখতেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব সমাজকে নিয়ে শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ মণি ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পুরোধা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুস্থ বিনোদন ধর্মী সাপ্তাহিক “সিনেমা” পত্রিকা বাঙালি সংস্কৃতির পরিশীলিত বুনিয়াদ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিল। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন স্বাধীনতা পরবর্তী যুব সমাজকে সৃজনশীল ও আদর্শ দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে। কিন্তু ঘাতকরা তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পূর্বে ঘৃণ্য বিপথগামী ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ মণি’র বাসায় হামলা করে শেখ মণি’র সঙ্গে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করেছিল। কিন্তু সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল তাদের দুটি শিশু সন্তান। তাদের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন এবং কনিষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় মেয়র।
শহীদ শেখ মণি’র ৮৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
যুবলীগের কর্মসূচি নি¤œরূপ:
৩ ডিসেম্বর, ২০২২ইং, শনিবার: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৪ ডিসেম্বর, ২০২২ইং, রবিবার: সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত।
দেশব্যাপী কর্মসূচি
(৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর,
৩ দিনব্যাপী) যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী সকল মসজিদে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অসহায়, এতিম ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র/খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।
৫ ডিসেম্বর ২০২২ইং, সোমবার: ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ।
৫ ডিসেম্বর ২০২২ইং, সোমবার: ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ।