যে কারনে গ্রেফতার হলেন জগন্নাথপুরের মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেরিন
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৩৩ মিনিটপ্রবাসীর বিনিয়োগের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রেফতার করা হয়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিনকে । সিলেট নগরীর আম্বরখানায় আবাসন এসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেড এ প্রবাসীর বিনিয়োগের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার ভোরে জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শেরিন গ্রামের মৃত শফিকুল হকের পুত্র।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর (যুধিষ্টিপুর) গ্রামের আব্দুস ছাত্তার চৌধুরীর পুত্র আনিসুল হক চৌধুরী আবাসনের পরিচালক হতে গত ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত নগদ ও চেকে সর্বমোট ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগের পর যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয়, কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন কাজ চলছে। শিগগিরই তাকে পরিচালক হিসেবে শেয়ার সার্টিফিকেট ও চিঠি দেয়া হবে। তারা বারবার একে অপরের দোহাই দিয়ে আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আবাসন এসোসিয়েট প্রাইভেট লিমিটেড এর কাগজপত্রে ৩৭ জন পরিচালকের নাম রয়েছে। পরিচালকের তালিকায় বিনিয়োগকারী আনিসুল হক চৌধুরীর নাম নেই। মূলত মাহবুবুল হক শেরিন ও মো. আব্দুল হামিদ তাকে প্রলুব্ধ করে এখানে বিনিয়োগ করান। আম্বরখানায় আবাসনের অফিসেও তারা আনিস চৌধুরীকে নিয়ে যান। তাদের কথামতো বিনিয়োগ করার পরেও পরিচালকের তালিকায় নাম না থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে হুমকি দেয়। এ সকল ঘটনাসহ বিষয়টির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আনিস চৌধুরী চলতি বছরের ২৩ মার্চ এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় শেরিন, হামিদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এয়ারপোর্ট থানার মামলা নম্বর-২৩। ধারা-৪০৬/৪২০/৩৪/৫০৬ দন্ডবিধি, কোড-১৯৮০।
মামলায় শেরিন ছাড়াও সিলেট নগরীর নয়াসড়কের অপরূপা টাওয়ারের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র মো. আব্দুল হামিদ (৫০) ও গোলাপগঞ্জের মেহেরপুরের কমর উদ্দিনের পুত্র নাসির উদ্দিনকে (৪৫) আসামি করা হয়। আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশ করে প্রতারণার মাধ্যমে তার বিনিয়োগকৃত অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অর্থ আত্মসাত করেই ক্ষান্ত হয়নি আসামিরা তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। মামলা দায়েরের পর প্রথমে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তদন্ত করলেও সম্প্রতি মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
সিআইডির পরিদর্শক শাহ মোবাশ্বির হোসেন জানান, শেরিনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। শেরিনকে গ্রেফতার করে ইতোমধ্যে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাত করে শেরিন নিজেই কোম্পানির চেয়ারম্যান হয়ে যান। হামিদ হন এমডি।
জানা গেছে, আম্বরখানা পয়েন্টের নিকটে গড়ে ওঠা আবাসন এসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেড প্রকল্পে দেশি-বিদেশি অনেকে বিনিয়োগ করেন।