বিদায় ১৪৩০ : কাল পহেলা বৈশাখ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ৮:১৫ মিনিটতাসলিমা খানম বীথি
বছরের শেষ সূর্যাস্ত জানিয়ে দিচ্ছে বাংলা বর্ষ বিদায় নেবে আমাদের মাঝ থেকে। সকাল হতেই নতুন বছরকে বরণ করে নেবে বাঙালী জাতি। ইতিমধ্যে নববর্ষকে বরণ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ, বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালির সর্বজনীন লোকজ উৎসব হিসেবে বিবেচিত। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করবে বাঙালি জাতি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) চৈত্র বাংলা বর্ষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শেষ দিন। চৈত্র মাসের শেষ এ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব এই চৈত্র সংক্রান্তি।বাঙালী জীবনে ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ বরণ করার জন্য আয়োজনে বরাবরে মত থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা-নববর্ষ শুরুর দিনটিতে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল পালিত হয় বাংলা বর্ষবরণ উৎসব।
বাংলা একাডেমি নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দিনটি নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়। শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল- ‘শুভ নববর্ষ।
এক সময় বাংলা নববর্ষ ছিল মূলত এই কৃষি সমাজের গ্রামীণ আয়োজন। কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, কৃষিপণ্য আর ছেলে ভুলানো খেলা ও বিভিন্ন ধরনের খাবারই ছিল মেলার প্রধান উপকরণ। পরবর্তীতে কালের বিবর্তন এবং সময়ের প্রয়োজনের হাঁটি হাঁটি পা পা করে এই গ্রামীণ মেলা দেশের সব ছোট-বড় শহরগুলোতেও পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। জাতি হিসেবে আমাদের রয়েছে হাজারো বছরের শিল্পের গৌরবময় ঐতিহ্য।