শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতের দিকে তাদের হবিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর পুরান বাসস্ট্যান্ড বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস (৮) সদর উপজেলার চর করম উল্যা গ্রামের জাকের হোসেনের মেয়ে ও অজ্ঞাত নারী (৬০) ভবঘুরে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ ভবঘুরে নারীর পরিচয় জানাতে পারেনি।

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক ভবঘুরে নারীকে রাস্তা পার করে দিতে গিয়ে ট্রাক চাপায় এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসচালক ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। একই সাথে বাসটি আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবঘুরে বৃদ্ধ নারী সোনাপুর এলাকায় থাকত মাঝে মাঝে ভিক্ষা করতেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে তাকে নিহত জান্নাতুলের পরিবার বাসায় দুপুরের খাবার খাওয়াতে নিয়ে যান। ওই নারী চোখে কম দেখতেন। এজন্য সন্ধ্যার দিকে নিহত জান্নাতুল তাকে রাস্তা পার করে দিতে বাসা থেকে নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর পুরান বাসস্ট্যান্ড বাইপাস সড়কের সোনাপুর কোল্ড স্টোরেজের সামনে তাদের বেপরোয়া গতির মাইজদীগামী সাগরিকা পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে তারা গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মো. গোলাম মোর্শেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর পরই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-১ যৌথ অভিযান চালিতে চালকসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মিজানুর রহমান (৩১) সিলেটের বালাগঞ্জ থানার হামছাপুর গ্রামের মৃত মজমিল আলীর ছেলে ও আবু তাহের (২৬) সিলেটের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং সুনামগঞ্জের জসিম উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (১৮)।