সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরে সুপারিশের প্রেক্ষিতে সিসিকের পরিষদ সভায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবকে জায়গা বরাদ্দের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলেও বারবারই টালবাহানা করেন সাবেক মেয়র আরিফ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে জায়গা বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি কিন্তু বারবারই প্রতারিত হতে হয়েছে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবকে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে লালিত সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাথে প্রতারণা করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জেলা প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয় প্রতিষ্ঠা কার্র্যক্রমের অগ্রগতি অবহিতকরণে বিশেষ সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেছেন।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনে স্থায়ী কার্যালয় প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরে সুপারিশের প্রেক্ষিতে সিসিকের পরিষদ সভায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবকে জায়গা বরাদ্দের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলেও বারবারই টালবাহানা করেন সাবেক মেয়র আরিফ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে জায়গা বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি কিন্তু বারবারই প্রতারিত হতে হয়েছে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবকে। সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদে কার্যালয়ের জন্য স্পেস বরাদ্দ দিয়ে চুক্তি করেন তৎকালীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বরাদ্দের বিপরীতে ভাড়া গ্রহণ করেও পরে স্পেস দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে নগরীর লালদীঘিরপারে জায়গা বরাদ্দ দিয়েও সেটি ব্যবহারের অনুমতি দেননি। সর্বশেষ দায়িত্ব শেষ হওয়ার পূর্বে জেলা প্রেসক্লাবের জায়গা বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় নেন। কিন্তু এরপর আর জেলা প্রেসক্লাবের সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি তিনি।

সভায় উপস্থিত সকল সদস্যই সাবেক মেয়র আরিফের এমন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান। সভায় উপস্থিত অন্যরাও মেয়র আরিফের এমন প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

তারা বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী যদি মিথ্যা আশ্বাস না দিতেন তাহলে সদস্যরা এতদিনে নিজেদের উদ্যোগেই স্থায়ী কার্যালয়ের ব্যবস্থা করতে পারতেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক সালাম মশরুর, সাবেক সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ ও আল আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত শাহ ফরিদী, জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, দৈনিক শ্যামল সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল মুকিত, সিটি কাউন্সিলর সিনিয়র সাংবাদিক রেজওয়ান আহমদ, দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান সংগ্রাম সিংহ, দৈনিক সমকালের ব্যুরো প্রধান ফয়সল আহমদ বাবলু, দৈনিক আধুনিক কাগজের সম্পাদক মঈন উদ্দিন, দৈনিক যুগভেরীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অপূর্ব শর্মা, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাঈদ চৌধুরী টিপু, সহ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক রবি কিরণ সিংহ রাজেশ, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ সরকার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মিঠু দাস জয়, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. এনামুল কবীর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান সুমন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ, পাঠাগার সম্পদক মো. আবু বকর, নির্বাহী সদস্য মো. শাহীন আহমদ, রনজিৎ কুমার সিংহ, আনোয়ার হোসেন।

ক্লাব সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- মোহাম্মদ মহসীন, মানব চ্যাটার্জি, মো. ইমরান আহমদ, মীর্জা সুহেল আহমদ, এ এইচ আরিফ, সৈয়দ রাসেল, শফিকুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মো. ইউসুফ আলী, রজত কান্তি চক্রবর্তী, মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, এম. এ মালেক, অমলকৃষ্ণ দেব, সুব্রত দাস, রায়হান উদ্দিন, তুহিনুল হক তুহিন, মো. ওলিউর রহমান, আশরাফ চৌধুরী রাজু, এম. আর. টুনু তালুকদার, নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ, শেখ মো. লুৎফুর রহমান, ইয়াহ্ইয়া মারুফ, পিংকু ধর, দিব্য জ্যোতি সী, মো. মনিরুজ্জামান রনি, মো. ছয়ফুল আলম অপু, শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সালমান ফরিদ, মো. দ্বোহা চৌধুরী, মামুন হোসেন, ভবরঞ্জন মৈত্র বাপ্পা, আতিকুর রহমান নগরী, জিকরুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি দাস, মোখলেছুর রহমান, সোহাগ আহমদ, অমিতা সিনহা, মো. রেজাউল হক ডালিম, ফয়জুল আহমদ, নবীন সোহেল, রাজীব রাসেল, মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, তুহিন আহমদ, সাকিব আল মামুন, মো. মেহেদী হাসান মিজু, মো. শাহীন, এ এস রায়হান, আজহার উদ্দিন শিমুল, এস এম মিজানুর রহমান ও নাজাত আহমদ পুরকায়স্থ।