ছিলটি ভাষাকে বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা করতে হবে
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০২৩, ৭:৪০ মিনিটসিলেট বিভাগবাসীর মাতৃভাষা ছিলটি নাগরী ভাষাকে বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা ও সিলেট বিভাগকে অনাকাঙ্খিত বন্যার হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিলেট বিভাগ ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন সিলটি পাঞ্চায়িত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ২টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিলটি পাঞ্চায়িত এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাজ রীহান জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেট। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মো. মকসুদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, দূর্নীতি প্রতিরোধ মঞ্চ এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া।
সিলটি পাঞ্চায়িত এর প্রচার সম্পাদক কামাল আহমদ’র পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলটি পাঞ্চায়িত এর কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আব্দুল হান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, সিলেট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম আশরাফি, এডভোকেট নেপাল চন্দ্র চন্দ, খন্দকার শফিউল ইসলাম, ইমরান শাহ, কবি আতাউর রহমান বঙ্গী, সাজ্জাদ আহমদ, ফয়ছল আহমদ, মো. সাবের আহমদ চৌধুরী, মাসুদ আহমদ তালুকদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেট বিভাগবাসীর মাতৃভাষা ছিলটি নাগরী ভাষাকে বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রভাষা করা অত্যন্ত যুক্তিসংঘত। কারণ হাজার বছর ধরে এই ভাষার অক্ষর বা বর্ণমালা সারাবিশ্বে প্রচলিত আছে। অন্যান্য দেশের নাগরিকরা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলে। দেশ বিদেশে আমাদের কোটি কোটি ছিলটি মানুষেরা ছিলটি ভাষায় কথা বলেন। অথচ আমাদের এই ভাষাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। ছিলটি ভাষাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। বক্তারা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ছিলটি নাগরী ভাষা চালু করার দাবি জানান। বক্তারা সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ইংরেজির পাশাপাশি ছিলটি নাগরী ভাষা লেখার জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান এবং ছিলটি এই ভাষাকে মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরার জন্য সিলেট বিভাগের মাননীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বক্তারা আরো বলেন, প্রতি বছর সিলেট বিভাগবাসী অকাল বন্যার কবলে পড়ে ফসলহানী, ঘরবাড়ি ও প্রাণহানীর মতো ঘটনার শিকার হন। একটি সুষ্ঠু মাস্টার প্লানের মাধ্যমে নদী খনন করলে সিলেটবাসী সহ আশপাশের অনেক জেলা উপজেলা বন্যার কবল থেকে মুক্তি পাবেন। বক্তারা অবিলম্বে নদী খনন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।