বিশ্বনাথে ভূমি দখলচেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুন ২০২৩, ৮:১৩ মিনিটদেবর কর্তৃক বসতবাড়ি ও জায়গাজমি দখলচেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দূরারোগ্য ক্যানসার ব্যধিতে এক আক্রান্ত নারী। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী মোছা. আছিয়া আইয়ুব মিনা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন, তাঁর স্বামী প্রায় ১ বছর আগে মারা যান। মারা যাওয়ার আগে গ্রাম্য সালিশি ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে তার স্বামীর উপস্থিতিতে তিন ভাই-বোনের মাঝে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। সেই বাটোয়ারানামায় স্বাক্ষরও করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেবর কয়ছর আলী (৫২)।
কিন্তু আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই স্বামীর ভাগের বসতবাড়ি ও জায়গা-জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তাঁর দেবর কয়ছরের। তিনি তার মৃত ভাইয়ের রেখে যাওয়া এতিম ভাতিজা-ভাতিজির সম্পত্তি জবরদখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিদেশে অবস্থান করলেও তার ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন আছিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আছিয়া বলেন, কয়ছর বিদেশে বসে কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে তাঁকে অবিরত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা বিশ্বনাথের জাহারগাঁওয়ের মৃত হারিছ খাঁ’র ছেলে ওয়ারিছ খাঁ। এই ব্যক্তি তালিকাভুক্ত রাজাকার। কয়ছরের পক্ষে ওয়ারিছ খাঁ তার বাহিনী নিয়ে সম্প্রতি দুই দফা তাঁর ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে গত ৫ মে ওয়ারিছ খাঁ তার বাহিনী নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে ঘর ভাড়া দেওয়া কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালায়। এ সময় তারা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার ভাড়াটেদের ও আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়। এমনকি প্রাণের মারারও হুমকি প্রদান করে ওয়ারিছ খা।
লিখিত বকতব্যে তিনি আরো অভিযোগ করেন গত ১ জুন সকাল অনুমানিক সাড়ে ৬টায় কয়ছরের আদেশে ওয়ারিছ বাহিনী তাদের পরিবারের সবার যৌথভাবে চলাফেরার রাস্তাটি দখল করতে চেষ্টা চালায়। ওইদিন তারা রাস্তাটি খুঁড়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়াল নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। তিনি এতে বাধা দিতে গেলে তাঁকে প্রাণে মেরে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এছাড়া বিগত ২ মাস আগে প্রায় ২ বার তাঁর জায়গার ওপর দেওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে। এই দুই ঘটনায় আমি আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেছি। আছিয়া অভিযোগ করেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কয়ছরের ভাড়াটে বাহিনী তাঁর ওপর এমন নির্যাতনে চালাচ্ছে। তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। আছিয়া নির্যাতন ও হুমকি-ধমকি থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।