সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় আমরা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছি এখন আমাদেরকে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি হাওর এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান। আইডিয়া ও গণসাক্ষরতা অভিযান এর যৌথ উদ্যোগে রোববার (৪জুন) সকালে নগরীর একটি হোটেল “ন্যায্যতাভিত্তিক বিনিয়োগ: শিক্ষায় অর্থায়নে ঔপনিবেশিকতার অবসান” বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংকটের কারণে দেশের ৪০ মিলিয়ন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এছাড়াও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চলনা করেন আইডিয়ার সহকারী পরিচালক নাজিম আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হায়দার। এ বছর গ্লোবাল একশন উইকের প্রতিপাদ্য ছিলো “ন্যায্যতাভিত্তিক বিনিয়োগ: শিক্ষায় অর্থায়নে ঔপনিবেশিকতার অবসান”। সভার পরামর্শগুলো হলো: শিক্ষা বাজেটে জিডিপির ৪% বরাদ্ধ দেওয়া। জাতীয় বাজেটের ২০% শিক্ষা বাজেটে বরাদ্ধ দেওয়া। মিড ডে মিল (স্কুল ফিডিং কর্মসূচি) চালু করা। অগ্রসরমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। শিক্ষা বাজেটের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে যুক্ত না করা। শিক্ষা খাতকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে বরাদ্ধ দেওয়া। শিক্ষার উন্নয়নে গবেষনা খাতে আশাব্যঞ্জক বরাদ্ধ দেওয়া। কলমের উপর মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা উচিৎ। বৃহত্তর হাওর এলাকার শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেটের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষনা বিভাগ চালু করা। শিক্ষকতা পেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা ইত্যাদি।
সভায় বক্তব্য রাখেন সমিক সহিদ জাহান, সাংবাদিক খালেদ মেহেদি, হাসান চৌধুরী, অনিক আহমদ অপু, মো: আসাদুজ্জামান সায়েম, আতাউর রহমান, সবিতা গোয়ালা, , শিউলী বেগম, , তপতি রানী সরকার, মাহমুদা জাহান চৌধুরী, এবিএম মুরাদ খান, , বিমল দাস, , অপুর্ব কুমার দাস, প্রমূখ।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল, সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
অফিসঃ সিলেট সিটি সেন্টার, রুম- ৯০৬ (এ), ৯ম তলা,জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩৪৬৪১, ০১৭৩০১২২০৫১
email : syfdianews@gmail.com