বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ১৭এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন: সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৫ মিনিট১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক এই দিবসটি উদযাপনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সোমবার, (১৭এপ্রিল) বেলা ২টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন- বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদ আর আড়াই লাখ নারীর সভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হওয়া যুদ্ধের সফল পরিণতি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের সরকারের মতোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সব প্রকার নীতি নির্ধারণসহ যুদ্ধের কৌশলগত বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গভীর প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে—এ প্রত্যাশা করেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নামে এই অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় দিকনির্দেশনাসহ দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মুজিবনগর সরকারের মেধাবী নেতৃত্বে পাকিস্তান পরাজিত হয়। যুদ্ধরত একটি জাতিকে, একটি সুসংগঠিত মুক্তিবাহিনীকে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল এই মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে।
এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান বলেন- স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখন্ড হিসেবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তিনি আরো বলেন, ১৭ এপ্রিল শুধু একটি দিবস মাত্র নয়, বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসের পথপরিক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক।
নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী করতে দলীয় সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান।
মেয়র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও আসন্ন সিটি নির্বাচনে দলীয় সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাকে বিজয়ী করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মুজিব নগর দিবসের আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, এডভোকেট রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: মবশ্বির আলী, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো: নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোঃ আব্দুল বারী, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, এডভোকেট মনসুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লেবু , জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি এড. সালমা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।
মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুর আনোয়ার আলাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. টি. এম. হাসান জেবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ আব্দুল মালিক সুজন, আলহাজ্ব এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ আব্দুর রব হাজারী, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, আক্তার হোসেন, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, আনসার আহমদ কয়েছ ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, আহমেদ হান্নান, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, আনোয়ার হোসেন আনার প্রমুখ।