শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইফতার প্রস্তুতি দেখলাম। সঙ্গে ছিলেন সহকর্মী সাংবাদিক আবু সালেহ মোহাম্মদ মাসুম, জাকির হোসাইন কয়েস ও মোঃ আব্দুল হান্নান। তাঁরা তিনজন বিকেল ৩টা থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত এলএমসিকে ঘুরে ইফতার প্রস্তুতির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন এবং সন্ধ্যার পরপরই নিজেদের অনলাইন টিভিতে সুন্দর স্টোরি আপলোড করেন।

এক কথায় চমৎকার । লন্ডন মুসলিম সেন্টারের গ্রাউণ্ডফ্লোরের লাগোয়া কিচেনে বিকেল ২টা থেকেই রান্নার কাজ শুরু হয় । প্রধান শেফ আব্দুল হামিদ ও ৫ সহকারী মিলে চার ঘণ্টার বেশি সময় ইফতার রান্নার কাজ করেন। প্রতিদিন প্রায় ১০০ কেজি চাল ও ১০০ কেজি মাংস দিয়ে ৭টি ডেগে বিরিয়ানী ও খিচুড়ি রান্না করা হয়। এরপর এলএমসি হলে শতশত প্লেটে ইফতার সাজানো হয়। প্রতিটি প্লেটে বিরিয়ানী ও খিচুড়ির সাথে দেওয়া হয় খেজুর, তরমুজ, আপেল, কমলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমুল । খুবই উন্নতমানের ইফতার পরিবেশন করা হয় ।

ইফতার পরিবেশনে প্রায় ২০জন ভলন্টিয়ার কাজ করেন । খুবই সুশৃংখলভাবে ইফতার বিতরণ করা হয়। প্লেটে প্লেটে ইফতার সাজানো হয়ে গেলে মাগরিবের পুর্ব মুহর্তে রোজাদারের জন্য হলটি খুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশী ছাড়াও তার্কিশ, সোমালিয়ান, পাকিস্তানী, নাইজেরিয়ান এমনকি স্বেতাঙ্গ মানুষও আসেন । আসেন অনেক অমুসলিমও। এক অভুতপুর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয় ।

বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ এককাতারে বসে অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশে ইফতার করে থাকেন। একসঙ্গে বসে ইফতারের আনন্দ আলাদা । ইস্ট লন্ডন মসজিদ একসঙ্গে ইফতারের সৌন্দর্যটা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।