গোয়াইনঘাট এর গল্প ১৫ ই মার্চ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ ২০২৩, ৮:৫৬ মিনিট
জুয়েল সাদত :
বাংলাদেশ পৌছার পর সিলেটের ডাক ও টাইম লাইনে মোবাইল নাম্বার ছিল। ৯ ডারিখ চেয়ারম্যান খোকন ভাইয়ের ফোন। জুয়েল গোয়াইনঘাট আসতে হবে, বললাম ইনশাআল্লাহ খালু কে ও স্কুল দেখতে আসব। তিনি বললেন শুক্র / শনি আসবে না, স্কুল খোলা দিনে আসিও। বললাম জুরুরী কাজ সেরে ফেলি,আসব ইনশাআল্লাহ । ১৪ তারিখ ফিনিক্স এর সাথে বসার পর, সন্ধ্যায় খোকন ভাইকে বললাম কাল আসব এক সময়।
নানা ব্যাস্ততায় শহর থেকে বের হতে দেরী হল। খোকন ভাই সকাল থেকে ফোনের উপর ফোন , একজন আলোকিত স্বজন, বর্তমানে ফ্লোরিডায় আমার প্রতিবেশী । ২২ বছর লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি।
রুহুল আমিন ও ফাহিমকে নিয়ে রওয়ানা হলাম। আমিও ২৪ বছর পর গোয়াইনঘাট যাচ্ছি। আনসার ভিডিপির গণসংযোগ কর্মকর্তা হিসাবে শেষ বার উপজেলা সমাবেশে গিয়েছিলাম।
দুপুর ২ টাই পৌছাই, খোকন ভাইয়ের বাসায়। বাসাটা উপজেলা সদরের মধ্যখানে। চেয়ারম্যান খোকন ভাই এর আব্বা হাজী জনাব তাহির আলী আমার অপেক্ষায়।
নাস্তা সেরে আমরা
” হাজী তাহির আলী নুরুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ” দেখতে রওয়ানা হলাম।
খোকন ভাই রা ৪ ভাই ৩ বোন গোয়াইনঘাট এর আলোকিত পরিবার। পিতা ও মাতার নামে একটি হাইস্কুল বানিয়েছেন।
রফিকুল হক খছরু ভাই ও তোফায়েল ও অন্য ভাই বোনরা আমার শহরে থাকেন। খছরু ভাই অনেক কষ্ট করে স্কুল টাকে দাড় করিয়েছেন খোকন ভাইয়ের সহযোগীতায় । পরিবারের সবাই সম্পৃক্ত।। গুড ইউনিটি তাদের পরিবারে।
স্কুল দেখতে যাই, এই স্কুলের নানা গল্প শুনেছি। ৬ ষ্ট ও ৭ ম শ্রেনী দিয়ে এই শিক্ষাবর্ষ চালু হল। অনেক সুন্দর স্কুলটা ১২০ শতক জায়গায় স্কুলটা, জায়গাটা তাদের পরিবারের। স্কুল ভবনটাও তাহির আলী পরিবারের ।
খোকন ভাই ও প্রধান শিক্ষক সব ক্লাস ঘুরে দেখালেন।
নতুন স্কুল অনেক কিছু দরকার, ছাত্র ছাত্রী দের সাথে কথা বললাম। ভাল লাগল, এক অন্যরকম অনুভুতি।
নিজে স্ব ইচ্ছায় স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত হলাম অনানুষ্ঠানিক ভাবে। । খোকন ভাই খুশি হলেন।
হাজী তাহির আলী মানে খালুর সাথে খাবার টেবিলে গল্প। উনি যা যা বললেন তা শুনে আমরা অবাক। উনার কনট্রিবিউশন এলাকার মসজিদ মাদ্রাসায় অনেক।। খুব ভাল আছেন,পরিবারের সবাই আমেরিকায়,তিনি আমেরিকা পছন্দ করেন না। তিনি কাজ পাগল মানুষ। খালু নীরবে অনেক কিছু দিন রাত করে যাচ্ছেন।। অনেক বয়স, কিন্তুু মনে হয় না।
খোকন ভাই দুপুরের পর পুরো উপজেলা চত্তর ও বাজার ঘুরে দেখালেন।
শেখ হাসিনার ৫৭০ টি মডেল মসজিদের ( ১৪ কোটির) গোয়াইনঘাটের টায় গেলাম। আছরের নামাজ পড়লাম। অসাধারন, সেটা আরেকদিন লিখব।
গোয়াইনঘাট প্রেস ক্লাবের বিশাল অফিস, এত বড় অফিস আর কোন উপজেলায় আছে জানা নাই। প্রেস ক্লাবের সামনে হিজড়া দের মহড়া। গাড়ী আটকায়, হৈ চৈ করে।।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ ( ইউ এস আওয়ামীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক) ভাই ছিলেন না অফিসে , ফোনে কথা বললেন। মিটিংএ ছিলেন, পরে এসেছেন, সময় কমে যাওয়ায় দেখা হয় নি।
খোকন চেয়ারম্যান জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি, সারা বাজারে উনার শুভাকাঙ্ক্ষী।। ভাল লাগল। গোয়াইনঘাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজনের সাথে কথা হল। জিঙ্গেস করলাম ভাতা ২০ হাজার পান কিনা, জানালেন ভাতা ছাড়াও আরো অনেক কিছু মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছেন।
সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় গোয়াইনঘাট থেকে সিলেট রওয়ানা হলাম।।
চলবে /