কানাডা আর আমেরিকার পথে পথে …
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০২৩, ১১:২৬ মিনিট
আ বু সা ঈ দ আ ন সা রী
(এক)
#২৩বছর পর দেখা-
অনেক দিন পর আমাদের খালোতো ভাই Qazi Atiq এর সাথে দেখা #New #York এ উনার বাসায়। ছোটো ভাই এখন সাহিত্য চর্চা নিয়ে ব্যস্ত। এক সময় ঢাকার জিগাতলার বাসায় আমাদের তুমুল আড্ডা হতো! সেসব নিয়ে অনেক কথা হলো তাঁর সাথে!
ছোটো ভাইয়ের সাথে লন্ডন দেখা হলেও ভাবীর সাথে দেখা হয় প্রায় ২৩ বছর পর। আগের মতো আদর আপ্যায়ন করতে ভুললেন না। আমার ভাতিজী তাসনিম এখন দু সন্তানের জননী! ভাবতে অবাক লাগে সেদিন ওকে অনেক ছোটো দেখেছি। ভাতিজা তাহমিদ সে সমস্ত আড্ডার দিনগুলোতে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র ছিলো, ও পড়ায় না বসলে ভাবী কাঁদতেন আর আমরা হাসতাম! আজ সে বিয়েশাদী করে সংসারী মানুষ পেশায় software engineer. সেই পুরো নিউইয়র্ক ঘুরে ঘুরে দেখালো- কোথায় Times Square, কোথায় Home Alone এর Plaza Hotel, Central Park ইত্যাদি ইত্যাদি!
(দুই)
সে এক দীর্ঘ যাত্রা-
কানাডার প্রগ্রাম শেষ করে তীব্র তুষারপাতে প্রায় ২ ঘন্টা drive করে গেলাম নায়াগ্রার জলপ্রপাত দেখতে! الحمدلله অভূতপূর্ব দৃশ্য। কোনো এক অজানায় হারিয়ে গেলাম। স্বপ্নের জলতরঙ্গের দৃশ্য দেখে প্রায় ৪ ঘন্টা ড্রাইভ শেষে আমেরিকার মিশিগানে পৌঁছলাম। মেঝ ভাই White House Correspondent Mushfiqul Fazal Ansarey কামাল নামে একজন ভাইকে পাঠালেন মিশিগান থেকে, আমাকে যিনি আমাকে টরেনটো থেকে মিশিগানে নিয়ে গেলেন। ১৩ই মার্চ রাত তখন ৩টা। চাচাতো বোন Tawhida Sarwat এর বাসায় উঠলাম। অনেক দিন পর দেখা হলো ভগ্নিপতি আর ভাগিনাদের সাথে! الحمدلله কয়েক ঘন্টা পরেই নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে উড়োজাহাজে চড়ে বসি।
(তিন)
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর ভিড়ে-
প্রায় ২৫/৩০ বছর পর দেখা হলো দুজন বন্ধুর সাথে। একজন আমরিকান শ্বেতাঙ্গ বিয়ে করে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করতেন, এখন নিউইয়র্ক থাকেন। প্রাইমারি স্কুলে আমরা এক সাথে পড়তাম। তাঁর বাবা ছিলেন highly educated, লিবিয়া embassy তে কাজ করতেন। আমাকে খুবই খুবই স্নেহ করতেন। তাদের বাসা শাহী ঈদগাঁতে ছিলো। শৈশবে তাদের বাসায় গেলে চাচা বলতেন, ‘খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে এক কাপ চা খাও।’ তারা গরু পোষতেন। শহরের বাসায় এরকম গরু খুবই কম দেখা যেতো। ধবল গরুর ধবল গরম দুধ! সে এক অন্যরকম feelings! আজ সেই বন্ধু পুরো নিউইয়র্ক দেখালেন, Roosevelt Island এ ক্যাবল কারে বসে পুরো শহর দেখলাম। নিজের অজান্তেই অনেক gift ব্যাগে ঢুকিয়ে দিলেন। ঈদগাঁহের শৈশবের অনেক স্মৃতি উচ্চারিত হলো দুজনের মুখে। এছাড়াও আলিয়া মাদ্রাসায় সাথী আমার মিতার সাথে দেখা হলো অনেক অনেক বছর পর। জ্যাকসন হাইটসে এক সাথে বসে অনেক পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করলাম।
(চার)
দাওয়াত-
আমার ভাগ্নি ডাক্তার Nadira Nusrat Mashiyat ঘরের দাওয়াত ছিলো অসাধারণ। সে Texas থেকে আমার সাথে দেখা করার জন্য ছুটে এসেছিলো।
এখন উড়োজাহাজে বসেছি, একটু পরে নিউইয়র্ক ছেড়ে দেবো إن شاء الله তারপর ওয়াশিংটনে খুঁজে পাবো হয়তো হারিয়ে যাওয়া কোনো স্বজনকে…
সে পর্যন্ত আললাহ আমাদের সবাইকে ভালো রাখুন।
আমিন।
আ বু সা ঈ দ আ ন সা রী
মার্চ ১৪, ২০২৩।। নিউইয়র্ক, আমেরিকা।