আজ দুপুর ৩ টায় ১৩ দিনের সফর শেষ করে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করব।। গতকাল ছিল আমার ব্যাস্ততার শেষ রজনি।। শহরে অনেক অনুষ্টান, সবাই প্রায়রিটি খুজে।। খুজা টা স্বাভাবিক।

এই সিলেট শহরের মানুষ, যন্ত্রের মত হয়ে গেছেন তাদের বিবেকটা হয়ে গেছে " ফোর স্টকের মত, কিভাবে চিপাচাপা দিয়ে পালানো যায়" ।

তারপরও কিছু মানুষ আমাকে আন্দোলিত করেছেন।। বার বার ফোন নাম্বার ছিল টাইম লাইনে । প্রিয় ছোট ভাই রুহুল আমিন ১৩ টা দিন ছিল, ছায়ার মত।। এত ঋন তার কাছে।

আরেকজন সংবাদকর্মী ফাহিম আহমদ। নানা ব্যাস্ততায় জড়িত, মিনিটেই হাজির। ছবি, ভিডিও, লাইভ একশনে, আমার সাথে সব জায়গায়।

।। ৬ দিনে আলোর মুখ দেখা নতুন বইটা " টাইম লাইন " মোড়ক উন্মোচন করেছি ২ বার, সুধি মহলে ব্যাপক প্রশংসিত ।।

সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্তরিকতা দেখাতে চায়। বাস্তবে লোকায়।। আমি ও আমার প্রায়রিটি খুজেছি।।

গতকাল সিলেট উপশহরে এ ব্লকে আমার / আমাদের অত্যাধুনিক দারুল আজহার মাদ্রাসায় আমাকে যেতে হয়েছিল। মওলানা মনজুরে মওলা ১১ টায় বললেও আমি পৌছাই ১২.৩০।। এ শহরে মোটর সাইকেলে ও চলা দায়।। ভয়ে সবাই হেলমেট এ মুড়ানো।

আালহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া।।

যে রকম চেয়েছিলাম, পরামর্শক ও ক্রিয়েটিভ এডভাইজার বা পরিচালক হিসাবে পরিদর্শন করে মুগ্ধতা পেলাম দারুল আজহারের ।।

ডায়নামিক ইসলামী স্কলার মাওলানা মনজুরে মওলা বাগানটা সাজিয়েছেন।। টিচার্স ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করেছিলেন। স্বাগত জানান ছাত্ ছাত্রী -ও শিক্ষক রা।

নানা বিষয় নিয়ে আলেচনা হয়। পুরো স্কুল পরিদর্শন করি। ৩০ মিনিট থাকব বলেলেও তিন ঘন্টা থাকতে হয়।

শিক্ষক শিক্ষিকারা নতুন প্রজন্মের , চোখে মুখে জানার আগ্রহ। পুরো দেড় ঘন্টা মোটিভেশনাল স্পিচ ও ট্রেনিং চলে। আমাদের মধ্যে চম্যকার সেশন চলতে থাকে।। একজন শুভাকাঙ্ক্ষী থেকে কিভাবে করোনাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠান বাচানোর জন্য আমার জড়ানো মওলানা মনজুরে মওলা বর্ননা করেন। শিবগঞ্জের মোড় থেকে উপশহরের শেষ মাথায় ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেখানে নিজস্ব স্বকীয়তায় দারুল আজহার টিকে আছে উন্নতমানের পাঠদানের কারনে।

মনজুরে মওলা আমাকে সম্মান করে উনার চেয়ারে বসান। এই প্রতিষ্ঠান থেকে পত্রিকা বের হয়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যালিগ্রাফি হয়,এই প্রতিষ্ঠান থেকে সায়েন্স ফেয়ার হয়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ম্যাগাজিন বের হয়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবেট কম্পিটিশন হয়, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ফল উ্যসব হয়,চম্যকার বার্ষিক পিকনিক হয়, এখান থেকে ছেলেরা টিভিতে যায়।

মওলানা আমাকে বার্ষিক রির্পোট সহ সব কিছু হস্তান্তর করেন। সেখানে একটি লাইব্রেরী ও আছে।। করোনার কঠিন সময়টা অনেক কষ্টে আমরা মডেল মাদরাসাটাকে টিকিয়ে রেখেছিলাম।। আমার সাথে এই টীমে যোগ দিয়েছেন নিউজার্সির রোটারিয়ান সাকের সিকদার ভাই।

উপশহরটা হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুল কেন্দ্র। ডানে বামে স্কুল কলেজ,মাদরাসা,টে্নিং সেন্টার। হ য ব র ল, আর বাড়ীওয়ালারা খুব বেশী এডভান্টেজ নিচ্ছে।।

আালহামদুলিল্লাহ, আধুনিকতার ছোয়ায় একটি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আছে।।

তিনঘন্টা পরে বের হই। দো'আশ প্রকাশনার তোফায়েলের সাথে টাইম লাইন বিপননের মিটিং ছিল। সেখান থেকে বাসায় ফিরি, ফিনিক্স, প্রথম আলো ও আরো কিছু অনুষ্টান ছিল। সব বাদ দিয়ে বাসায় ফিরে আসি। দিরাই, তাহিরপুর, মালনীছড়া চা বাগান এর স্বজনরা বাসায় মধ্য রাত পযর্ন্ত।। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব আপন।

ধন্যবাদ নার্গিস সুলতানা রুমি কে, নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদ। আমাকে শিবগঞ্জ এর নতুন রেষ্টুরেন্ট " চাখুম "নিয়ে যাবার জন্য। । ছোট ভাই রন্ধন শিল্পী অভি আমাকে পেয়ে খুশি, তার নতুন রেস্টুরেন্ট চাখুম ঘুরে দেখায়।

চাখুম একটি মনিপুরী শব্দ, যার অর্থ রান্নাঘর।

অভি আমাকে তার রেষ্টুরন্ট এর গল্প শোনাল।। তাকে চিনি ছোটবেলা থেকে।

অনেক গল্প শোনাব / চলবে