চাইলে স্বপ্নকে ছোয়া যায়
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৩, ৮:৫২ মিনিট
জুয়েল সাদত :
বহুদিন থেকে ইচ্ছা ছিল একটা মসজিদের সাথে আষ্টেপিষ্টে জড়াব। ফেসবুকে ওপেন বলেও জায়গা পাই নাই। কারন খুব কঠিন নতুন জায়গায় মসজিদ বানানো।। একদিন অনুজ প্রতিম কাশমির রেজার তাহিরপুর থেকে লাইভ, রাত তখন আমেরিকায় দেড়টা, কাশমিরকে বললাম লাইভ ডিলেট কর। তারপর ইতিহাস,দুমাস পর সেই মসজিদটা তৈরী হল। গত রমজানের আগে সেটা উদ্ভোধন হল।
তাহিরপুর এর ঘাগাটিয়া নামক জায়গায় সরকার প্রদত্ত ৭৬ টি গৃহহীন দের বাড়ীর পাশেই সেই মসজিদটি আলো ছড়াতে থাকে। সেই সব গৃহহীন রা ও তাদের সন্তানরা নামাজ ও কোরআান পড়তে শুরু করে।।
তারপর সেই মসজিদটির পুর্নতা দিতে পুরো একটি বছর লেগে গেল। “সাদত ঘাগটিয়া মুজিবনগর জামে মসজিদ “।
এই মসজিদটি দেখতে আমার ঘনিষ্ট ৫ জন স্বজনদের নিয়ে গতকাল পরিদর্শন করি । সিলেটের তাহিরপুর এর শিমুল বাগানের পাশেই সেই মসজিদের মুসল্লী দের সাথে মিলিত হলাম।
আনন্দ ও অনুভুতির এক অন্য রকম মিশ্রণ।
গত রমজানে ও মুসল্লিরা ইফতার করেন, এবারও করবেন। খতমে তারাবী নামাজ হবে।
এরই মধ্যে একই জায়গায়, হাফিজীয়া মাদ্রাসা চালু করা হয়েছে। সাদত হাফিজীয়া মাদ্রাসা।
ফেরার পথে শিমুল বাগান ঘুরে আসলাম।
শত শত টুরিষ্টের পদচারনা। সেখানেও আমাদের গাড়ী আটকায় হিজড়ারা। এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়,আল্লাহ ভাল জানেন।।
বন্যার সময় সাদত ফাউন্ডেশন এর দানকৃত বাাড়ী ঘর পরিদর্শন করলাম। সাদত ফাউন্ডেশন বন্যায় শতাধিক বাড়ী তৈরী করে দিয়েছিল।
গত একটি বছর, অনেক কষ্টে এই সংবাদটা জানাইনি। আজ আবেগে আর পারলাম না। যদি কেউ অনুপ্রাণিত হতে পারেন।।