প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২, ২০২৪, ৮:৩৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১৪, ২০২৩, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
আখাউড়া পার্ট (২) : এই দিনের জন্য অনেক বছর অপেক্ষায়
জুয়েল সাদত :
১১ মাার্চ আখাউড়ায় দিনটা ছিল ব্যাস্ততায়, মেয়র কাজল ভাই পৌনে তিন ঘন্টা ছিলেন আমার সাথে। স্থানীয় আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক এর বাসায় আমার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা ছিল। তারপর গ্রামবাসীর সাথে মত বিনিময় করি।
সা'দাত দারুস সালাম মাদরাসা থেকে দুজন হাফেজ সম্পন্ন করেছেন। এলাকাবাসীর আনন্দের শেষ নাই। আরো কয়েকজন বের হবে এক বছরের মাথায়।। গাছে ফল দেয়া শুরু হয়েছে।। আমরা নতুন দুজন কে পাগড়ী পরাই। তারা বয়সে তরুন। আালহামদুলিল্লাহ এই দিনের জন্য অনেক বছর অপেক্ষায়। বিকেল তিনটায় মুল অনুস্টান এর পর সবাই চলে গেলেও হাফেজদের সাথে সময় কাটাতে থাকি।। সুদৃশ্য বিল্ডিং এর সামনে ও পুকুরের পাশে আমরা ছিলাম। মসজিদ কমিটির সবাই আমাকে ঘিরে।। অনেকেই ফেসবুকে দেখেছেন, সামনা সামনি দেখলেন আজ । মোবারকবাদ জানালেন।
মসজিদের অসমাপ্ত কাজ পরিদর্শন করি। মসজিদের ও মাদ্রাসায় দীর্ঘ সময় ছিলাম, আমরা আগরতলা যাবার রাস্তা আখাউড়া চেকপোস্ট পরিদর্শন করি, সেখানে আমাকে নিয়ে যান বন্দরের সাধারন সম্পাদক সফিক ভাই, সেখানে ওসি ( বন্দর) স্বাগত জানান। বাংলাদেশ পুলিশের স্থলবন্দর এর ওসি চম্যকার মানুষ, আমাকে ও আমাদের যথেষ্ট সময় দিলেন। সম্মানিত করলেন। জানালেন প্রতিদিন ৩০০ বাংলাদেশী এই রাস্তা দিয়ে ভারত গমন করেন।। সকলে জানার জন্য আখাউড়াতে ভারতীয় ভিসার অফিস রয়েছে।
আমি ও আমার ভ্রমনসঙ্গীরা ঘন্টা খানের আখাউড়া বন্দরে ছিলাম। নো মেন্স ল্যান্ড এ ছিলাম বেশ কিছু সময় । সেখানেও ছিল উষ্ণ আতিথিয়েতা।
সেখান থেকে আমরা চলে যাই, অত্র এলাকায় আমার ১ ম মাদ্রাসা দারুস সালাম মাদরাসায় । সেখানে ইসলামী মহা সম্মেলনে যাই, আমাকে প্রধান আকর্ষন হিসাবে পোষ্টারিং করেন মওলানা ফখরুদ্দিন। বাউতলায় এই দারুস সালাম মাদ্রাসাটায় সম্পৃক্ত হয়েছিলাম ২০১৬/২০১৭ সালে। এই প্রতিস্টানের বাচ্চাদের হাতের লেখা অনেক সুন্দর। তারা লেখা গুলো ডিসপ্লে করে। মহা সম্মেলন শুরু হবে সন্ধার পর, আমি সকলকে নিয়ে বসি। আমাদে দেখার জন্য অনেক মানুষ। সে এক অন্য
রকম আবেগ ও অনুভুতির বিষয়। পুরো গ্রামবাসী অপেক্ষায়,ছিলেন। সেখানে মেনেজিং কমিটি ও এলাকার মুরব্বিয়ানরা বসেন, আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়।
তারপর মাদ্রাসা ঘুরে দেখি । বাচ্চাদের হাতের লেখার দেয়ালিকা উদ্ভোধন করি। সন্ধা বেলা পুরো এলাকা ইসলামী মহাসম্মেলন কে ঘিরে উ্যসব মুখর। আনন্দে ভরপুর, রাতের দীর্ঘ সময় ( ১১ মার্চ) ইমান আকিদা নিয়ে আলোচনা হবে । প্রধান আকর্ষন হিসাবে আমি মুল পর্ব শুরুর আগেই আমার করনীয় যা করার সম্পন্ন করি। এলাকার মুরব্বিয়ানরা এর সাথে দীর্ঘ আলোচনা ফলপ্রসূ হতে থাকে।।
দারস সালাম মাদ্রাসা করোনার কারনে একটু পিছিয়ে পড়েছে। ছাত্র সংখ্যা ১১০ জন। ১৫০ জন হলে মাদ্রাসা চালাতে বেগ পেতে হবে না জানালেন হাফেজ আজমল ও মওলানা ফখরুদ্দিন।।
নতুন কয়েকটা ঘর তৈরী করতে হবে। মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ উ্যসব মুখর। আমরা দারুস সালাম মাদ্রাসা কে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করি। সেই আলোচনা চলে। আমাকে তাড়া দিচ্ছিলেন সবাই, কারন আরেকটি আকর্ষনীয় ইভেন্ট অপেক্ষায়। রাত হয়ে যাচ্ছিল।।
সম্পাদকঃ আব্দুল বাতিন ফয়সল, সহ-সম্পাদকঃ আব্দুল মুহিত দিদার
অফিসঃ সিলেট সিটি সেন্টার, রুম- ৯০৬ (এ), ৯ম তলা,জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩৪৬৪১, ০১৭৩০১২২০৫১
email : syfdianews@gmail.com
Copyright © 2024 Sylhet Express. All rights reserved.