১ মার্চ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় হাল্ট-প্রাইজ এর 'অন ক্যাম্পাস ' রাউন্ড। হাল্ট প্রাইজ নতুন উউদ্দোক্তা তৈরির লক্ষে কাজ করে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ইউনিভার্সিটি গুলো এই প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহন করে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে বরাবর এই প্রোগ্রাম আয়োজিত হয়। এরি ধারাবাহিকতায় আজ অন ক্যাম্পাস রাউন্ডের প্রতিযোগিতা শেষ হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন ডাঃ মুনতাহা রাকিব অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ডাঃ মুন্সী নাসের ইবনে আফজাল সহযোগী অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যুৎ কান্তি দাসউদ্যোক্তা পরিচালক, জেস্ট ফুড অ্যান্ড বেভারেজ জেনারেল ম্যানেজার, শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ডা. মোহাম্মদ জহিরুল হক। ৯ টি দল অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতা করে এবং - ক্যানকভাস, আর্বান ও নকশা এই ৩টি দল যথাক্রমে বিজয়ি হয়।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিচারকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ভিবিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক উপদেশ প্রদান করেন। এবং বিজয়ি দলগুলোকে সার্টিফিকেট এবং ক্রেট এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো হয়। চাকরি না খুজে চাকুরি দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাস্তব ধারণা নেয়ার সর্বোত্তম জায়গা। এখানে তত্বীয় পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তবিক অর্থে পড়াশোনার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। দেশে এম্প্লয়মেন্ট জেনারেশন এ মেট্রপলিটন ইউনিভার্সিটি অগ্রনি ভুমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন এবং এই জন্য সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান। বিচারকদের মধ্যে জনাব ড. মুন্সি নাসের ইবনে আফজাল প্রতিযোগিদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল শিক্ষক তোমাদের মেন্টর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, তোমাদের কাজ হচ্ছে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটুকু শিখে নেয়া। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় যারা পরবর্তী রাউন্ডে অংশ নিবেন তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। ডক্টর মুন্তাহা রাকিব বলেন ছাত্রদের মাঝে যে আগ্রহ দেখা গিয়েছে সেটা যাতে ধরে রেখে পরবর্তী রাউন্ডে আরও ভাল করা যায় সেজন্য যেকোনো সহযোগিতা করবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উত্থাপিত বিজনেস আইডিয়ার উপর নিজের মুল্যবান মতামত উপস্থাপন করেন যা শিক্ষার্থীদের বিজনেস আইডিয়াকে আরো পরিণত করবে। জনাব বিদ্যুৎ কান্তি দাস একজন উদ্যোক্তা হিসেবে উনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ভাগাভাগি করেন। প্রতিযোগীদের উত্থাপিত আইডিয়া দেখে উনি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং বলেন আমরা যদি আমাদের মৌলিকতা ধরে রেখে ব্যবসা করতে পারি তাহলে সেই ব্যবসা অবশ্যই সফল হবে। অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রমে কমিটি মেম্বারদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ ইমরান উদ্দিন সহকারী অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ। মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ইয়াজদানী রাজু। সহকারী অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ।ক্লাবের সভাপতি আশিকুর রহমান প্রভাষক অর্থনীতি বিভাগ। অধ্যাপক চৌধুরী এম. মুকাম্মেল ওয়াহিদ, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা।