পালটা সংবাদ সম্মেলনে সাবেক র্যাব কর্মকর্তা চাঁদা না পেয়ে নানাভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছে
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:৪০ মিনিটনিজের ওপর আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক র্যাব কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর স্ত্রীর চাচাতো ভাই ব্যবসায়ি আবুল কাসেম আসাদের বিরুদ্ধে জবরদখলে ব্যর্থ হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন।
এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নগরের চৌকিদেখী এলাকার মরহুম আব্দুর রহমানের একমাত্র মেয়ে নাসরাত রহমান নাদিয়াকে বিয়ের পর তিনি স্ত্রী, সন্তান এবং গুরুতর অসুস্থ শাশুরীকে নিয়ে চৌকীদেখির বাসাতে বর্তমানে বসবাস করছেন। তাঁর স্ত্রীর চাচাতো ভাই আসাদের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেস, যেহেতু তাঁর স্ত্রী তার পিতার একমাত্র সন্তান, এ কারনে আসাদ ও তার সহযোগীদের লোলুপ দৃষ্টি ছিলো মৌরসী সূত্রে প্রাপ্ত তাঁর শশুরের আম্বরখানা মৌজার জেএল ৯২ দাগ নং-১০৩১ ও ১৮১ নং দাগের ২৪ শতক ভুমির ওপর। তাঁর শশুর জীবদ্দশায় জমি নিয়ে আসাদ ও তার সহযোগীদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট ছিলেন। এ কারণে তিনি জীবিত থাকাকালে ওই ভূমি আমার স্ত্রী ও শাশুড়ীর নামে সাফকাবালা রেজিস্ট্রিমুলে দলিল করে যান। পরে আমার শাশুরীও তার অংশের ভুমি আমার স্ত্রীর নামে সাফকাবালা দলিল করে দেন। ফলে এখন পুরো ২৪ শতক ভুমিই আমার স্ত্রীর নিজস্ব।
আসাদ মাদকাসক্ত বলে দাবি করে মোশাররফ বলেন, আসাদকে একাধিকবার রিহাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আসাদ পালিয়েছেও। তার যন্ত্রনায় স্বজনরা অতিষ্ট। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তারই লন্ডন প্রবাসী ফুফাত ভাই দেশে এসে তার নামে ডিজিটাল আইনে মামলা করেন। নানা সময় স্বজনদের জমি নিয়ে অযথা বিরোধ ঘটিয়ে চাঁদাবাজি করে আসাদ একাধিক বার কারাবরণ করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আসাদ তাঁর চাকুরির বিষয়ে অপপ্রচার করেছে। তিনি জানান চাকুরীকালীন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো না। তাঁকে চাকুরিচ্যুত করা হয়নি। বরং চাকুরিরত অবস্থায় তিনি সম্মাননাস্বরূপ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি পারিবারিক কারনে ১৪ বছর ৩ মাস ১৩ দিন চাকুরি করার পর অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন মাদক সেবনের জন্য তাঁর কাছে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে আসাদ এখন তাঁর শশুরের গোষ্ঠীর লোকজনকে বিভ্রান্ত করে কুৎসা রটাচ্ছে। গত ২৭ শে অক্টোবর হঠাৎ করে পার্স্ববর্তী আব্দুল হামিদ, আবুল কাশেম আসাদ ও তাদের লোকজন আমার স্ত্রীর ভুমিতে ৫০ বছর আগে তৈরি সীমানা ঘেষা ঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলে। ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারনে দেওয়াল ভেঙে ২৬ পয়েন্ট ভুমি তাদের বলে দাবি করে। পরে পুলিশ এলে সন্ত্রাসীরাসহ আসাদ চলে যায়। পার্শ্ববর্তী আব্দুল হকের কাছ থেকে আসাদ আমোক্তার নামা নিয়ে ওই ভুমি তার দাবি করে চাঁদাবাজির ইস্যুকে বার বার জমি সংক্রান্ত বিরোধ বলে প্রচার করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি সিলেটে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ৫ ডিসেম্বর মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। পরে তিনি ৮ ডিসেম্বর পুনরায় কাজ শুরু করলে আসাদ ও তার সহযোগীরা এসে বাধা দেয়। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ছাড়াও নির্মানাধীন দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় জিডি দায়ের তিনি। এরপর ১৩ জানুয়ারি আবার কাজ শুরু করলে আসাদ বাধা দেয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা ছাড়াও নির্মাণাধীন দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায়ও আমি জিডি দায়ের করি। সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ জানান, তাঁর নির্মিত বহুতল ভবন নির্মানে চাঁদা না দেওয়ায় এখন কুৎসা রটাচ্ছে আসাদ ও তার সহযোগীরা। নানাভাবে তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতে তিনি প্রশাসনসহ সকল মহলের সহোযোগিতা কামনা করেন।