প্রাণোচ্ছল উদ্দীপনায় এসএসসি ব্যাচ-১৯৮৬ বাংলাদেশের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাতাবার্ষিকী উৎসব সম্পন্ন
ইফতেখার শামীম
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:০৩ মিনিট
‘দৃঢ় হোক বন্ধুত্ব, সহযোগিতার বন্ধনে’ এই স্লোগানকে সামন রেখে সিলেটে সম্পন্ন হলো ‘এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ’ এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী – ২০২৩ সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৮৬ ব্যাচের হাজারখানেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয় ।
আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে এক্সেলসিওর সিলেটে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত উৎসবটি সম্মিলিত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, কো-চেয়ারম্যান মারসাদ আক্তার খুকী ও আতাউর রহমান, উৎসব উপদেষ্ঠা মো. মোক্তার হোসেন, চিফ কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট অাব্দুল আহাদ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর বিভাগের সভাপতি লায়ন খন্দকার কামরুল হাসান এমজেএফ, উৎসব ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মনসুর আলম চৌধুরী টিপু ও মো. মোবারক হোসেন, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর শেখ নজরুল ইসলাম আশিক, চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মো. মাহফুজার রহমান রুবেল, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর মো. শফিকুল ইসলাম, উৎসব সদস্য সচিব মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সিদ্দিকী, উৎসব আহ্ববায়ক আশরাফুল হক সোহেল ও জগলু চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ও সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ’ দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি সংগঠণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আর্তমানবতার সেবায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে বিগত তিন বছর থেকে পূণর্মিলনীর আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের আয়োজন সিলেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন, মানুষের পাশে থেকে, মানুষকে সাথে নিয়েই আমাদের পথচলা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।
দিপালী বিশ্বাসের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন শামসুজ্জামান দিনার ও গীতা পাঠ করেন ডি.কে জিতেন।
দিনব্যাপী এই মিলনমেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘মানবিকতায় ৮৬ ব্যাচ’ এর উদ্যোগে স্থানীয় ৩০০ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষকে চাদর বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জন্মবার্ষিকী কেক কাটা, র্যাফেল ড্র সহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।