রহিম উল্লাহ এক সংগ্রামী পুরুষ
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০২২, ১০:১৫ মিনিটমো: আমিনুল ইসলাম:
যে মাদ্রাসায় তিনি আসা যাওয়া করেন সেটা তাঁর ছেলেরা বিভিন্ন দানশীল মানুষের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেছে। শিশু শ্রেণি হতে এখন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
রইমুল্লাদা যৌবনে ভালো ফুটবল খেলতেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে দায়িত্ব বাড়ে। রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অনেক দিন। তাও অবৈতনিক, স্বেচ্ছাশ্রম ভিত্তিক। এ যেন আগ্রহ ও নেশার সম্মিলন।
রইমুল্লাদা’র আরও দুই ভাই ছিলেন। বড় ভাই আমির উদ্দিন অনেক আগেই মারা গেছেন। ছোটভাই আফছর উদ্দিনও মারা দশ বছর তো হবেই। তাঁর দুই বোন রঙিলা ও দিলারা, বড় বোন রঙিলা আর জীবিত নেই।
রইমুল্লাদা এক সময় দোকানদারি করতেন। ক্ষুদ্র ব্যবসা। স্টেশনারি মালামাল বিক্রি করতেন। সে সময় গ্রামের বাজারে পাকা বা সেমিপাকা দোকান ঘর ছিলনা। বেশিরভাগ ছিল ভাসমান দোকান। উপরে ঢেউ টিন বা ছালার ছাউনি দেয়া, কোন দেয়াল ছাড়াই। মহাজনরা টুকরি বা বস্তায় করে মালামাল নিয়ে আসতেন এবং রাতে অবশিষ্ট মাল নিয়ে বাড়ি ফিরতেন।
আমাদের ছোটবেলায় গান বা কিচ্ছার অনুষ্ঠান হতো। রইমুল্লাদা কিচ্ছা উপস্থাপন করতেন। দরাজ গলার তাঁর উপস্থাপন আকর্ষণীয় ছিল। অনেকে তাঁকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যেতো। তাছাড়া মহফিল নামে এক ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতো যাতে সরব উপস্থিতি থাকতো।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন করেন। ছোটখাটো ঝগড়া বিবাদ মীমাংসায় দক্ষতা ছিল তাঁর।
জীবন সংগ্রামের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে বাসস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে দুইবার। প্রাথমিক পর্যায়ে পড়াশোনা সমাপ্ত হলেও আমাদের উৎসাহ দিতেন। ছেলেরাও ভালো পড়াশোনা করেছে। বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় ইমাম বা শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আমি তাঁর স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।