ইব্রাহিম চৌধুরী খোকনকে নিয়ে লন্ডনে এক প্রাণবন্ত আড্ডা
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর ২০২২, ৯:৩২ মিনিট
সাঈদ চৌধুরী:
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা সংস্করণের সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন লন্ডন এসেছেন। তাকে নিয়ে এক প্রাণবন্ত আড্ডায় কেটেছে আজকের বিকেল। সাথে ছিলেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ মাহমুদুর রহমান শানুর, হেলাল আহমদ, দিলদার সারোয়ার শিপন, কিশোয়ার আনাম লিটন, জোছনা পারভীন, রুমানা আনাম, শাহরিয়ার আনাম নাফি প্রমুখ।
খোকন ভাইর আড্ডা মানে প্রাণখুলে হাসি, যেখানে কোনো ক্লান্তি নেই। মন ও মননে কেবল আনন্দের উল্লাস। সুন্দর ও স্মার্টলি কথা বলেন তিনি। ভরাট গলায় আলাপের সময় তার ব্যক্তিত্বে আলাদা মাত্রা যোগ করে। তার এক্সপ্রেশন ও বডি ল্যাংগুয়েজ তথা বসার ভঙ্গি এবং হাত নাড়ানো সুনিয়ন্ত্রিত। মানুষকে কনভেন্স করার ক্ষমতা সব সময় ছিল, এখনো আছে। ফলে তার প্রতি উপস্থিত সকলের আকর্ষণ সহজাত। পারস্পরিক অন্তরঙ্গ আলাপনেও প্রাণসঞ্চার ঘটে। উপস্থিতি যত বাড়ে আড্ডার আকর্ষণ হয় আরো দুর্নিবার।
খোকন ভাইর সাথে গতানুগতিক অনুষ্ঠানের ধারা ভেঙ্গে একেবারে ঘরোয়া আড্ডায় প্রাণ সঞ্চারিত হয়। অবশ্য তিনি গতানুগতিক জীবন ধারায় কখনো ছিলেন না। একঘেয়ে জীবনের অনুভূতি কিংবা প্রাত্যহিক জীবনের বিরক্তি কখনো নেই। নির্মল আনন্দে কেটে গেছে তার ছেলেবেলা। ছাত্র রাজনীতি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সাংবাদিকতা সর্বত্রই ছিলেন উচ্ছল ও প্রাণবন্ত। বিদেশ যাবার পরও তেমন কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। এখনো আছেন আগের মতই।
আমাদের সাংবাদিকতায় তারুণ্যের সাহসী সময় কেটেছে সিলেটে। ব্যতিক্রমী এবং অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার প্রতিযোগিতা ছিল। সর্বশেষ খবর সংগ্রহে ছিল প্রত্যয়ী চোখে বিজয়ী হাসি। খোকন ভাই বললেন সে সময়ের কথা। আশি-নব্বই দশকে ছাত্র রাজনীতির আনন্দে-উচ্ছ্বাসে ভাসানো দিনকাল, গৌরবের ইতিহাস। মাঝে মধ্যে নানা অঘটনের অম্লমধুর যন্ত্রণাও।
এক সময় পেশাগত কাজে সিলেট শহের ঘুরে বেড়ানোর সঙ্গে ব্যতিক্রমী সব আড্ডাবাজির স্মৃতিরোমন্থন হল। আড্ডায় বাংলা সাহিত্য থেকে বিশ্বসাহিত্যও স্থান পেয়েছে। মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়েছে সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমসাময়িক প্রসঙ্গ, রোমাঞ্চ আরো কত কিছুতে।