কাব্য জগতে ব্যতিক্রমী এক তরুণ সাধক। ছড়া সাহিত্যে কর্মনিষ্ঠার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে তিনি প্রকাশ করেছেন ছড়াগ্রন্থ ‘ভুলের সাথে আড়ি’। ছড়া লেখার চেয়ে কাব্যিক দ্যোতনা তাকে আকৃষ্ট করে বেশি। সুতরাং নিরলস লিখে যাচ্ছেন কবিতা। তাঁর কবিতায় জীবন ও প্রকৃতি সমানভাবে গুরুত্ব পায়।

কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য তরুণ কবি ছালিক আমীন-কে ইউনিক হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন (ইউএইচএফ) এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অদ্য ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং (বৃহস্পতিবার) জকিগঞ্জ পৌর শহরে সোনার বাংলা অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র বাবুল হোসাই'র উপস্থিতিতে মহতি এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। ছালিক আমীন সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় কাজ করলেও মূলত তাঁর সাহিত্যসাধনা কবিতাকে নিয়ে।

জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না ও প্রেমকে প্রকৃতির নানা বস্তুর উপমায় চিত্রায়িত করতে তাঁর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। ছালিক আমীন ২০১৪ সাল থেকে সম্পাদনা করে আসছেন সাহিত্য পত্রিকা ‘আলোছায়া’। ২০১২ সালের শুরুর দিকে গড়ে তুলেন সাহিত্য সংগঠন ‘আলোছায়া সাহিত্য ফোরাম’। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তিনি এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০১৩ সালের শুরু থেকে শিক্ষকতার মহান পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন। অদ্যাবধি সেই পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। নানাবিধ প্রতিভার অধিকারী ছালিক আমীন সাহিত্যের পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত আছেন। তিনি ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ নভেম্বর শুক্রবার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি মাতা-পিতার ২য় সন্তান। ছোটবেলায় পিতাকে হারিয়ে মায়ের আদর-স্নেহ ও বড় ভাইয়ের আদর্শে গড়ে উঠেন তিনি।

কবি ছালিক আমীন ২০০৮ সালে মাধ্যমিক স্কুলের দশম শ্রেনির ছাত্র থাকাকালীন সময়ে সাহিত্য চর্চা ও লেখালেখিতে নিজেকে নিযুক্ত করেন। ‘বাংলা জন্মভূমি’ এবং ‘কাক ও কোকিল’ এই দুটি ছড়া, কবিতা সিলেট থেকে প্রকাশিত ত্রি-মাসিক পত্রিকা সবুজপ্রান্তে প্রকাশের মধ্য দিয়েই কবির প্রথম যাত্রা। এর ধারাবাহিকতায় আজও দেশের সর্বত্র পত্র-পত্রিকায় লিখে যাচ্ছেন। তাঁর সাহিত্য সাধনায় রয়েছে প্রকাশিত গ্রন্থঃ ‘শেষ চিঠি’ (কবিতা), ’ভুলের সাথে আড়ি’ (ছড়া), ’আলোছায়া’ (যৌথ কাব্য সংকলন), সম্পাদনাঃ ‘আলোছায়া’ (সাহিত্য ম্যাগাজিন)। অর্জন করেছেন কবিতায় কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২, ববইসকপ সম্মাননা স্মারক ২০২২, ইউএইচএফ সম্মাননা স্মরণ ২০২২।